skip to Main Content

Valuable Experience of Life

🌷আমি না কি চোর ও প্রতারক!
.

আমাকে এক লোক প্রতারক ও চোর বলেছে। আলহামদুলিল্লাহ, পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যে একজন পাওয়া গেলো, যে আমাকে খারাপ মনে করে!

ঘটনাটি সবিস্তারে বলছি।
ভদ্রলোকের নাম আমজাদ৷ থাকে মিরপুর।
তার মূল কাজ ফুটফাট বিয়ে শাদীর ঘটকালি করা৷ তিনি আমাকে একদিন ফোন করলেন – মাসুম ভাই, আমার পরিচিত এক ব্যক্তি আছে, কানাডা থাকেন। আপনার নাম্বার দিতে চাই। উনি ব্যবসায় ইনভেষ্ট করতে চান৷
আমি বললাম, মানুষ হিসেবে পছন্দ না হলে কিন্তু আমি ইনভেষ্টমেন্ট নিবো না। ঘটক আমার ওপর একটু চটে গেলো। সামান্য বিরক্ত হয়ে বললো – সেটা আপনার ব্যপার৷

কানাডা থেকে ভদ্রলোক ফোন করেছেন, বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। ঢাকায় তার একটি ফ্লাট বিক্রয় করে আমার ব্যবসায় পাঁচ লাখ টাকা ইনভেষ্ট করতে চায়।

কানাডার এই ভদ্রলোককে ছমাস আগে রেফার করেছিলেন আমজাদ। কানাডার ভদ্রলোক আমার সাথে কথা বলে ভীষন খুশী। এরকম কাউকেই তিনি খুঁজছিলেন, যেখানে নিশ্চিন্তে ইনভেষ্ট করা যায়!

কানাডার ভদ্রলোক রাজী হবার পর আমজাদ আমাকে এক সন্ধ্যায় ফোন দিলেন৷ বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো, আমি গীটারে একটি গান সুর করছিলাম। তিনি বললেন, মাসুম ভাই, আমার পার্টি আপনাকে ৫ লাখ টাকা ইনভেষ্ট করবে, কিন্তু, আমাকে কি দিবেন?

আমি বললাম, উনার টাকা নিবোই, এরকম সিদ্ধান্ত নেই নি। ভেবে দেখি। উনার সম্পর্কে আগে খোঁজ নিবো।

আমজাদ বলে – আপনি তো উনাকে চিনতেন না৷ উনি টাকা ইনভেষ্ট করলে টাকার গ্যারান্টি কি?
আমি বললাম – খুব সুন্দর প্রশ্ন৷ উনি যদি ইনভেষ্ট করার সুযোগ পান, এডভান্স চেক গ্যারান্টি পাবেন, এগ্রীমেন্ট থাকবে, জয়েন ষ্টক দ্বারা স্বীকৃত মেমোরেন্ডামে শেয়ার এলটমেন্ট থাকবে। আমার ৫০০ গুন এসেট গ্যারান্টি আছে। আর কি আশা করে, কথা বলতে বলবেন৷
নিবো কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেই নি।

আমজাদ কিছুক্ষন হতচকিত হয়ে বললেন-
যদি নেন, আমাকে কি দিবেন?
আমি জিজ্ঞেস করলাম – আপনার প্রত্যাশা কি, শুনি?

তিনি বললেন -৫০ হাজার দিয়ে দিয়েন।

আমি বললাম – আমি কাউকে কমিশন দিয়ে ইনভেষ্টমেন্ট চাই না৷
হ্যা, আপনি যদি ভালো একজন মানুষকে আমার নজরে এনে থাকেন, সে জন্য কিছু সুবিধা পাবেন৷
-কী রকম?
– ৩/৪ হাজার টাকার গার্মেন্ট প্রোডাক্ট, আমার ইলেকট্রনিক শো রুম থেকে ৫ হাজার টাকা ছাড়, বিপদে পড়লে, শুভাকাঙ্খী হিসেবে ২০ হাজার টাকা লোন, বছরে দুয়েকবার ফাইভ ষ্টার হোটেলে ডীনারের দাওয়াত। আমার অন্যান্য কোম্পানিগুলো থেকে বিশেষ ফেভার।

আমজাদ রেগে গেলেন৷ আপনার এতো কিচ্ছা রাখেন। ৫০ দিবেন না দিবেন না, সেটা বলেন৷

আমি বললাম – আপনার লোককে মানা করে দিয়েন৷

গত সপ্তায় কানাডার ভদ্রলোক আবার আমাকে কল করেছেন। আমি ফোন ধরতে না চেয়েও, ভাবলাম, ফোন না ধরা একটা অভদ্রতা!

ফোন ধরলাম৷ কথার সারাংশ এরকম – অন লাইনে আমাকে যতোটুকু চিনেছেন, আমাকে তার পারফেক্ট মনে হয়েছে। আমাজাদের সাথে গত দিন কথা বলে তিনি ধাক্কা খেয়েছেন৷ আমজাদ তাকে বলেছে- আবদুল্লাহ আল মাসুম চোর ও প্রতারক। বাস্তবে আমাকে তিনি কতোটা চেনেন?

আমি বললাম – উনি কেন বদনাম করেছেন, তা আমি জানি৷ তবে, বাস্তবে চিনে নেয়ার প্রসঙ্গ খুব মূল্যবান উপদেশ।

আমার একটু রাগও লেগেছে। আমি বললাম – আপনার ইনভেষ্ট করা লাগবে না৷ আমজাদকে আমি এক লাখ টাকা ক্যাশ দিবো, সময় এক সপ্তাহ। তাকে চ্যালেঞ্জ করেন।
বলবেন – সমগ্র পৃথিবী ছেড়ে দেয়া হলো। ৪০ বছর বয়েসে, ১৪ টি সৃষ্টিশীল শাখায় স্বাক্ষর রেখেছেন, ছয়টি বড় গ্রুপের এডভাইজার, কনসালটেট, ১৬ টি নতুন চমকপূর্ণ আইডিয়ার স্রষ্টা,৩ টি বাস্তবায়ন হয়েছে , ফ্যামিলি ও এসেট ব্যকগ্রাউন্ড, জেনুয়িনিটি, অরজিনালিটি, ক্লীন ইমেজ, সততা, খাটি বড় হ্দয়, মহানুভবতা, উদারতা, ধৈর্য্য, বিনয়, প্রেম, কানেকশান, কল্যানময় প্রবনতা, জীবনে কারো ক্ষতি করি নি, চেনা অচেনা সবার প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা, ব্যবসায়িক আন্তর্জাতিক কানেকশান, ২২ টি বিজনেস কনসালটেন্সি করি, ২৬ টি ফরেন বায়ার ডীল করি, ব্যবসায়িক জ্ঞান, চার পাচটি ব্যবসা পরিচালনা করি, ফ্যামিলি বিজনেস ব্যকগ্রাউন্ড, থাই এলুমিনুয়াম সেক্টরে ১০ বছর টানা ইমপোর্টার হিসেবে প্রথম আমাদের পারিবারিক ব্যবসা, সিরিয়াস, সিনসিয়ার কমিটেড পারসন, ৩ কোটি টাকার মেশিন ছাড়া স্যাটেলাইট চ্যানেল ব্রডকাষ্ট করতে পারি, আমার ৫৭ টি ব্যাচ ছেড়েছি ক্যামেরা ম্যান, এডিটর, সংবাদপাঠক, উপস্থাপক, নিজে হাতে বানানো অনেক তারকা আছে। একটি স্যাটেলাইট চ্যানেল ৫৩ দেশ থেকে বাঙালিরা দেখেছে টিভি সেট এ সাত মাস। আমি এর প্রতিষ্ঠাতা, মূল উদ্যোক্তা, সাতটি গ্রাউন্ডে একজন তুখোড় প্রশিক্ষক।
আমি ফীল করি, আমি জগত ও স্বর্গের একান্ত গোপন সংযোগ!
সব মিলিয়ে সারা দুনিয়া থেকে আমার পাশে সমস্ত গুনবালী নিয়ে দাড়াবার জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তিকে আবিষ্কার করতে বলেন আমজাদকে। সে না পারলে, আমি আপনার ইনভেষ্টমেন্ট নিবো কি না, ভেবে দেখবো৷ আর যদি পারে, এক লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে যেতে বলেন৷

গতকাল এক সপ্তাহ শেষ হয়েছে। আমাজাদ বা কানাডা পার্টি কেউ আমাকে কল দেয় নি ।

আমজাদ আমাকে চোর বা প্রতারক বলেছে এটা সত্য কি না, নিশ্চিত হবার জন্য আমি কৌশল অবলম্বন করেছি৷ আমার লোক দিয়ে কল করিয়ে কল রেকর্ড করেছি। হ্যা, সে আমাকে চোর বলেছে।

আমার কাছে প্রমান আছে। আমার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী ব্যপার হলো সম্মান। এর পর ভালোবাসা, তারপর টাকা, সম্পদ ও অন্য কিছু৷
আমার সবচেয়ে অমূল্য সম্পদে আঘাত করেছে আমজাদ৷

আমি যদি এখন তার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মান হানি মামলা করি, কতোটুকু অন্যায় হবে?
তার ব্যপারে খোঁজ নেয়া শুরু করলাম৷ জানতে পারলাম- নুন আনতে পানতা ফুরায়, কয়েকটি মেয়ের ভালো বিয়ের ঘর সে ভেঙে দিয়েছে। ভালো ছেলের সাথে বিয়ে ফাইনাল হলে, মেয়ের বাবার কাছে তিন লাখ টাকা ডিমান্ড করে, দিতে রাজী নয় হলে, আগ্রহী ছেলেকে বলে, মেয়ের আরেক জায়গায় বিয়ে হয়েছিলো বা মেয়ে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কক্সবাজার নয় দিন থেকে এসেছে। আমাদের গ্রাম দেশে বাঞ্জানি বলে একটি শব্দ আছে। নিজ স্বার্থে বাঞ্জানিতে উস্তাদ৷

আজ, ভেবে দেখলাম, সে গরীব, নুন আনতে পানতা ফুরায়। তার বিরুদ্ধে পাচ কোটি টাকার মামলা চলে না। সে পাচ টাকার ফটকা। ১০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করলেই,তার উচিত শিক্ষা হয়ে যাবে। কিন্তু, ভালো মন্দ সব মানুষকেই আমি ভালোবাসি৷ আমার দ্বারা সবাই উপকৃত হবে, ক্ষতিগ্রস্থ নয়, এটাই আমার একান্ত চাওয়া।

আমজাদকে লোক মারফত এন্তেজাম পাঠিয়েছি, দেখা করে যেনো ক্ষমা চায়, না হলে মান হানি মামলা করে তাকে জেলের ভাত খাওয়াবো। দেখি, সে কতোটুকু আবাল, সুযোগ ও ক্ষমা গ্রহন করে না কি নিজের কপালে কঠিন বিপদ ডেকে আনে!

আমি আমার ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে মানুষে ১/২ কোটি টাকার সাপোর্ট দেবার জন্য মনস্থীর করেছি, মানুষের ভালোবাসা, সম্মান পাবার বদলে, অপপ্রচার, মিথ্যে অপবাদ পাবার জন্য নয়৷

শিষ্টের লালন করবো, দুষ্টের দমন করবো, এটাই আমার প্রতিশ্রুতি। আমজাদ যদি ক্ষমা না চেয়ে জেলে যেতে আগ্রহ বোধ করে, তার চাওয়াই পূর্ণ হবে৷

গত ১০ বছরে মিথ্যে বলেছি ৩/৪ টি। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী স্বপ্ন নবীজিকে স্বপ্ন দেখেছি দুবার, এটা হলাম আমি৷

তার পরিবারে চার জন সদস্য, তার রুজীর ওপর নির্ভরশীল৷ সে দু বছর জেল এ থাকলে বা কর্মক্ষম না হলে, তার পরিবারের খাওয়ার খরচ আমিই চালাবো, কারন – তারা অপরাধী নয়। তাদের প্রতি এটা আমার কর্তব্য নয়, হবে আমার মানবিকতা।

সুনির্দিষ্ট প্রমান ব্যতীত আমার সম্পর্কে কেউ বাজে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। আমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বৃহত কল্যান ও মানুষের হৃদয়ের রাজত্ব, অমরত্ব৷

আমাকে আমার কাজ করতে দিন।
বাজে মন্তব্য দ্বারা বিরক্ত করে আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করবপন না৷ আমি জীবনে, আপনাদের জগতে এক বিরল দৃষ্টান্ত হবার আধ্যাত্নিক সফরে আছি৷

আমি মানুষ হলেও, আসলে সকলের বুকের ভেতরের এক অপূর্ব হৃদয়৷ আমাকে উপলব্ধি করুন। অনুপ্রেরনা ও ভালোবাসায় সিক্ত করুন, এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আপনারই কল্যান।

কেউ আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করলে ফোন কল রেকর্ড করে ধরিয়ে দিন। ১০ হাজার টাকা সুবিধা দিবো বিভিন্ন কোম্পানি থেকে৷

সকলের কপালে ভক্তি চুম্বন
অফুরন্ত ভালোবাসা৷
.
.
.
আবদুল্লাহ আল মাসুৃম
the poet of love.
1 piece in 🌎.

জীবনে আপনার বড় হবার ৬ টা পথ।

১. ব্যবসা
২. স্কীল ডেভেলপমেন্ট
৩.কনসালটেন্সি
৪.আইডিয়া
৫.ঐশ্বর্য্যশালী মহানুভব কারো অত্যন্ত প্রিয় হতে পারা।
৬. পৃথিবীতে হঠাত উদয় হওয়া অপূর্ব সুযোগগুলোকে পজেটিভলি চিহ্নত করতে পারা৷

একজন ডাক্তারের দেখা পেয়োছি, যার আক্কল নাই।
একজন প্রভাষকের দেখা পেয়েছি, যার রুচি নাই।
একজন ইঞ্জিনিয়ারের দেখা পেয়েছি, যার সাহস নাই।
একজন তারকার দেখা পেয়েছি, যার মনুষত্ব নাই৷
একজন ঘটকের দেখা পেয়োছি, যার স্বপ্ন নাই।
একজন নেতার দেখা পেয়েছি, যার বিচক্ষনতা নাই।
একজন লয়ারের দেখা পেয়েছি, যার নীতি নাই।
একজন ব্যাংকারের দেখা পেয়েছি, যার আইকিউ নাই৷
একজন অফিসারের দেখা পেয়েছি, যার ভেতর প্রেম নাই৷
একজন ধনী ব্যক্তির দেখা পেয়েছি, যার ভেতর বিশ্বাস নাই৷
একজন কবির দেখা পেয়েছি,
যার ভেতর সিনসিয়ারিটি নাই।
একজন সাংবাদিক পেয়েছি,
যার ভেতর পজেটিভ কোনো চিন্তা নাই৷

এরকম একজন দিয়ে আমাদের সমাজ ভরা৷
Missing file গুলো তারা update করে না৷
পিছিয়ে থাকে তাই৷

কার ভেতর কি আছে, কি নাই।
আমি অদৃশ্য দেখতে পাই৷
.
.
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love

বড় ও ধনী হবার পথ

১. যা থেকে অর্থ আসে না বা ভবিষ্যত নেই, সেখানে সময় বিনিয়োগ কমিয়ে দিন৷
২.রুটি রুজীর জন্য সমস্ত সময় বিনিয়োগ করবেন না৷ ১০% সময় বড় হবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য বিনিয়োগ করুন৷
৩. যা থেকে দুটাকা আসবে সেখানে আগ্রহী হোন, যে খাতে দু টাকা নিয়মিত খরচ হবে, সেখানে উতসাহ কমান৷
৪.জীবনের সমস্ত খাতে অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলো বন্ধ করুন। ধরুন – সিগারেট খাওয়া৷ প্রতি দিন চারটা সিগারেটে আপনার খরচ – ৪৮ টাকা। মনে করি ৫০ টাকা । মাসে ১৫০০ বছরে দাড়ায় – ১৮,০০০ টাকা৷ অর্থাত এক বছরের সিগারোট খাওয়া ছেড়ে দিলে, এ টাকা সঠিক নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগ করে আপনি হতে পারেন ২/৩ লাখ টাকার মালিক, উপরন্তু, ফুসফুসের পেছনে ভবিষ্যতে চিকিতসার ৬ লাখ বেচে যাবে।

৫.অপ্রয়োজনীয় নেশা ছেড়ে দিন। তাস খেলা, অপেশাার শখে কবুতর পালা, প্রতিদিন সিনেমা হলে সিনেমা দেখা, প্রভৃতি

৬.যুক্তসঙ্গত নিরাপদ ভালো অফার Accept ও recieve করা শিখুন। পৃথিবীর সব মানুষ মন্দ নয়৷ নিজেকে শুধরে নিন৷
৭. প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নয়নের কোনো বিকল্প নাই৷ আগামির দুনিয়া প্রযুক্তি ছাড়া বিকল। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন। মেইল করা, ফেইসবুক চালানো, গ্রাফিক ডিজাইন,আউট সোর্সিং এ সমৃদ্ধ হোন।
৮.আপনার পরিচিত ২০০ মানুষের মধ্যে এক দুজন বড় হৃদয়ের ধনী কিন্তু ভালো উদার মানুষ পাবেন। সেখানে ফোকাস করুন৷ তার প্রিয় হবার চেষ্টা করুন৷ আপনার প্রিয় তারকা, আপনার মন্ত্রী এমপি এরা আপানাকে সরাসরি আশীর্বাদ দেবে না। কিন্তু, এসব সাধারন মানুষ এর মনে স্থান করতে পারলে, আপনার ভবিষ্যত গড়তে তারা সাহায্য করবে৷ মানুষ চিনুন । সম্মান করুন৷ অনেকে আছেন আপনাদের পৃথিবীতে, তাদের বেসুমার টাকা আছে। একটু সম্মান ভালোবাসার বিনিময়ে তারা আপনাকে সমৃদ্ধ করতে আগ্রহী হবে।

৯.গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত মানুষকে আপনার সর্বোচ্চ সম্মান দিন। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত৷ সবাইকে এ সম্মানটুকু দেখালে সৃষ্টিকর্তা নিজেও সন্তুষ্ট হয়। অনেকে আছেন, অপরিচিত বড়োদেরও তুমি বলেন, এমন ভাবে এপ্রোচ করেন, যেনো সে আপনার ইয়ার দোস্ত, বিয়াই বা ক্লাসমেট। নিজের আচরন ও উপস্থাপনা নিয়ে সচেতন থাকুন৷ নিজের ব্যক্তিত্বপর ত্রুটির কারনে অনেক সুযোগ থেকে আপনি অজান্তে বঞ্চিত হচ্ছেন না তো?

১০.আপনাকে কেন মানুষ বিশ্বাস করবে, সে জন্য সঠিক মানুষদের মনপ আস্থা তৈরী করুন। পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না৷

১১. নেগেটিভ কথা, বাজে কথা, অপপ্রচার ও আজাইরা কথা থেকে বিরত থাকুন। পজেটিভ মানুষরা এরকম মানুষদের অসুস্থ মনে করে।

১২. কান কথায় কান দিবেন না৷ নিজের বুদ্ধি ও মস্তিষ্ক ও হৃদয় দ্বারা সঠিক মানুষ আবিষ্কার করুন। অন্যের কথায় নাচবেন না বা confused হবেন না৷
১৩.অলস মানুষ সবসময় পেছনে পরে থাকবে। অলসতা পরিহার করুন। আপনার থেকে অনেক এগিয়ে থাকা কোনো মানুষ অলস নয়৷ তাদের অনুস্বরব করুন। শ্রম দিতে শিখুন সঠিক জায়গায়৷
১৪. নেগেটিভ থট, সন্দেহপ্রবন, জেলাসি, ইগো, অন্যের ক্ষতি চিন্তা, মিথ্যাবাদীতা পরোক্ষভাবে আপনার সবচেয়ে বড়ো দুশমন৷ এটম বোমা মেরে নিজের ভেতরের ক্ষতিকর এসব দিক ধ্বংস করুন,, যাদের ভেতর এসব আছে, তাদেরকে পরিহার করুন, তারা যদি বাবা মা ও হয়, তাদের থেকে দূরত্বে থাকুন, সন্তান হিসেবে দায়িত্ব দূর থেকে পালন করুন৷ এ ধরনের মানুষেরা আপনার পজেটিভ এনার্জিকে শুষে নেয় ও আপনার ভেতর অমূলক ভয়, আতঙ্ক, অযেক্তিক আতঙ্ক, কল্পিত অনিশ্চয়তা রোপন করে ও আপনার সম্ভাবনা বিনষ্ট করে।এদের বিষয়ে সাবধান। এরা ভাইরাস। ফোনে ঢুকলে ফোন শেষ৷ মনে ঢুকলে মন শেষ৷
১৫.প্রতি নিয়ত সামান্য সঞ্চ করতে শিখুন৷
১৬৷ হাজার টাকায় যে জামাটি কিনলে চলে, ৫ হাজার টাকায় তা শখের জন্য ক্রয় করবেন না, যদি আপনি সীমাবদ্ধ আয়ের মানুষ হন!
১৭.১০০ টাকা রুজি থাকলে ১ টাকা অবশ্যই দান করার অনুশীলন করুন৷ মনে, রাখবেন, আপনার এমন কর্মে সাত আসমানের ওপর বসে কেউ একজন মুচকি হাসবে, সেটাই আপনার জন্য নিয়ে আসবে কোটি টাকা৷
১৮.অন্যকে পেছনে টানার চেষ্টা থেকে রুহু থেকে মুক্ত করুন, এটা সময়ের অপচয়৷ সঠিক মানুষদের এগিয়ে দিলে, আপনার এগুবার পথও সুগম হবে, এটা আধ্যাত্মিক ফয়সালা, আমার নয়৷
১৯. যেটা কে হ্দয় থেকে ভালো বাসবেন, ভালো মনে করবেন সেটাতে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে শক্তভাবে জড়িত হবেন, আলগা পিরিতি, আছি, নাই অবস্থা আপানকে গন্তব্যপ পৌছতে দেবে না৷ যা করবেন সিনসিয়ারলি এফেক্টিভ ওয়েতে করবেন৷
২০. মিনিমিন করবেনা না। এটা বদভ্যাস। ষ্ট্রেইট ফরোয়ার্ড হোন৷ ভালো ও কল্যানময় হলে জোড়ে স্ফূর্তি নিয়ে yes বলুন৷ ডাল মে কুচ কালা হে হলে, নম্রতার সাথে No বলুন৷
২১. কাউকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করবেন না। হতে পারে, আপনি যা এই মুহুর্তে বুঝতে পারছেন না , তা পরবর্তী মুহুর্তে আপনার চোখ খুলে দেবে৷
২২. ঈর্ষায় কোনো কিছু অর্জিত হয় না, বরং নিজের চিত্ত এসিডে পুড়ে যায়, দয়া করে নিজের ক্ষতি করবেন না৷ কাউকে ঈর্ষা বা হিংসা হলে,তার চেয়ে যোগ্য হবার প্রতিজ্ঞা করুন ও কাজ শুরু করুন৷ ঈর্ষা দ্বারা মানুষ নিজের অমিত সম্ভাবনা নষ্ট করে৷ কারো প্রতি ক্ষতিকর ঈর্ষা জন্মালে নিজের গালে আস্তে আস্তে থাপ্পর মারুন। এতে আপনার হাসি আসবে ও ঈর্ষা কাটবে।
২৩.যারা আপনার চেয়ে ব্রাইট, আশেপাশে খুঁজে নিন৷ অক্ষতিকর এমন মানুষদের পরামর্শ গ্রহন করবেন।
২৪. বড় হতে চাইলে বড় হবার পথ খুঁজুন৷ ২ লাখ টাকা ক্যাশ অনেকেই আপনাকে দেবে, বড় হবার পথ দিতে পারবে লাখে এক জন৷ সেরকম সত মানুষ তালাশ করুন।
২৫. মনে রাখবেন – আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ একজন সঠিক মানুষ। সঠিক মানুষ আপনাকে গড়বে৷ বেঠিক মানুষ আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
২৬. নিয়মিত নতুব্ন নতুন জ্ঞান দ্বারা নিজেকে সমৃদ্ধ করুন৷ এছাড়া ওপরে উঠতে পারবেন না৷
২৭. ধৈয্য হারাবেন না৷ একত্রিত হোন।
২৮. ব্যক্তিত্ব ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সদা সচেষ্ট থাকুন৷
২৯। সাহস করে প্রচার করুন- আমি একজন ভালো মানুষ, আপনি কেমন?
৩০.সংঘবদ্ধ হোন৷
৩১.নিয়মিত কানেকশান বড় করুন৷
৩২.অন্যের স্বার্থের দিকে মনোযেগী নজর রাখুন। যথাসম্ভব অন্যের উপকার করার চেষ্টা করুন। আপনি গ্রেট ফ্রেন্ড সার্কেল ও শুভকাঙ্খীদের পাশে পাবেন।
৩৩. ক্ষমা করতে শিখুন। কেউ আপনার সম্মান ও জীবনের ওপর মিথ্যে হুমকি বয়ে আনলে যথাযোগ্য শাস্তি দিন। ছাড় দিবেন না।
৩৪.কারো ওপর জুলুম করবেন না৷ জোড় করবেন না কোনো কিছুতে৷ কাউকে ঠকাবেন না৷ নিজেও ঠকবেন না৷ চোখ কান খোলা রাখুন৷
৩৫.হাল ছেড়ে দেবেন না। টাকা ছাড়াও পৃথিবীতে বড় হবার অনেক পথ আছে। আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের শ্রম, মেধা, দক্ষতা, শিক্ষার ওপর৷
৩৬.কানেকশান তৈরী করুন, কানেকশান তৈরী করুন, কানেকশান তৈরী করুন, প্রকৃত মানুষদের সাথে কানেকশান তৈরী করুন। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জিনিসগুলো অদৃশ্য। এদের চোখে দেখা যায় না। উপলব্ধি করতে হয়৷ নিজের অন্তর্চক্ষুকে সজাগ করুন।
৩৭. আচার ব্যবহারে ক্লাসিক ও মার্জিত হোন।
৩৮. ভাষা প্রয়োগে সচেতন ও সুন্দরতম হোন৷ শুদ্ধ উচ্চারনে কথা বলতে শিখুন।
৩৮.দর্শন ইতিহাস ও ম্যাথমেটিকস চর্চা করুন৷
৩৯. কমিটমেন্ট রাখুন, সিনসিয়ার থাকুন, পরিচ্ছন্ন পোষাকে থাকুন, পাংচুয়াল থাকুন ও হাসিখুশী থাকুন৷
৪০. সৌভাগ্য দরোজায় নক করলে, না বলবেন না। খুশী মনে স্বাগতম করুন৷
৪১. দৃষ্টির ভেতর গভীরতা আনুন। শুধু চোখ ও কানের ওপর নির্ভর করবেন না। বুদ্ধি শিক্ষা কমন সেন্স ভুলে গেলে চলবে না।
৪২. নিজেকে Auto command দিন। আপনাকে অনেক বড় হতে হবে।
৪৩. স্রষ্টার কাছে বিনীত ভাবে আপনাকে উড্ডয়ন করার জন্য প্রার্থনা করুন৷
৪৪. বাবা মা, মানুষ হিসেবে বড় ধরনের কোনো বেইনসাফি করলেও দূর থেকে তাদের জন্য উপহার সামগ্রী পাঠাবেন ও অর্থনৈতিক সহযোগীতা করবেন, যদি তাদের প্রয়োজন থাকে!
৪৫. Be kind to others, allah will be so kind to you.
৪৬.যদি এমন সুযোগ আসে, হ্যা বললে দুটাকা লস নেই, বরং অনেক পেতে পারেন বা না ও পারেন, No বলবেন না । take chace. তবে, কার সাথে ডীল করছেন, মানুষ কেমন, জেনে নিলে ভালো।

৪৭.কোনো কাজকে ছোট মনে করবেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার মেয়ে ও রেষ্টুরেন্ট এ ওয়েটার এর কাজ করে। আপনি ড্রাইভিং করলে বা সাধারন একটা কাজ করলে আপনার জাত যাবে, আপনি কে?

আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.

একবার আমি রাজশাহী গিয়ে আম বাগান কিনলাম। পরিচিত ৭৮ জনকে ১০/২০ কেজি করে আম পাঠিয়েছি৷ একেকজন একেক এলাকায় থাকে, কেউ উত্তরা, কেউ বসুন্ধরা, কেউ নারায়নগঞ্জ, কেউ ধানমন্ডি, কেউ মিরপুর।

আম কিনতে লাগে টাকা৷ কিন্তু, এগুলো পৌঁছে দেয়া ডিষ্ট্রিবিউশন বেশ কষ্ট সাধ্য ছিলো৷ যা ই হোক, আম খেয়ে ৪০% মানুষ দোয়া করেছে। ৩০% মানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছে,খুশী হয়েছে, জানিয়েছে। ৩০% লোক নীরব থেকেছে৷ ১০% লোক অভিযোগ করেছে। আম মিষ্টি হলেও দু তিনটা নাকি অর্ধেক পঁচা ছিলো।

একজন লোক আম ফিরিয়ে দিয়েছে। আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। দুই লাখ টাকা ধার চেয়েছিলো, দেই নি৷ আমি তার সমস্যা সমাধানের বিকল্প পথ তৈরী করে দিয়েছিলাম, সে নেয় নি। সেই রাগ মনে এক বছর পুষে রেখেছে, আমি তা জানতাম না৷

প্রায় তিন বছর আগে, একটি বাগান কিনেছিলাম রাজশাহী গিয়ে। নিজে ড্রাইভ করে গিয়েছিলাম৷ যাত্রাপথ ছিলো খুব আনন্দময়। রাজশাহী ছবির মতো পরিচ্ছন্ন৷ পথের দুধারে অনেক গাছ। সাবেক মেয়র লিটন ভাইয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ছিলো, তার কাজের প্রশংসা না করে পারি নি৷ আমাকে তিনি খুব পছন্দ করেছিলেন।
প্রতি ঈদে ফোন করে বা মেসেজ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন।

গত দুমাসে দুজন ফোন করে টিপ্পনী কেটেছে – কি, এবার আম খাওয়াবেন না?

আমি বললাম – আপনাদের তো পৌঁছে দিতে হয়, সমস্যা৷

গত দু বছরে, এদের মধ্যে একজন আমার জন্য একটি কাঁঠাল পাঠিয়েছে তার গাছের।

ফোন করে বলেছে – আপনার আমের মতো এতো স্বাদ না। তবে, নিজেদের গাছের, খেয়ে ভালো লাগবে৷

আমি উনার মনে রাখার জন্য খুব ভালো ফীল করেছি। আমার ভালোবাসা আন্তরিকতাটুকু হয়তো আর কেউ মনে রাখে নি৷

কারো মনে রাখার জন্য আমি দেই ও নি৷ দিয়েছি, আমি দিতে সুখ পাই বলে৷

মনে মনে বুঝতে পেরেছি, এ মানুষটা অন্য রকম যে মনে রেখেছে৷

২০২৫ সালে উনাকে আমি ৩ লাখ টাকা দিবো বলে মনস্থীর করেছি । উনার ঢাকায় কোনো ফ্লাট নেই, কিন্তু, ইনষ্টলমেন্ট দেয়ার তওফিক আছে৷ ডাউন পেমেন্ট করতে আমি সহযোগীতা করবো। ভালো মানুষদের একটু এগিয়ে দেয়ার মানুষ সমাজে খুব কম৷ পৃথিবীতে এমন মানুষ কয়েকজন থাকা উচিত৷

সারাদিন মাইকিং করলেও মানুষের এ উপলব্ধি হবে না।
Action is loud then work.
আমি নিজে উদাহরন সৃষ্টি করলে, কেউ কেউ হয়তো তা
অনুস্বরন করবে ও অনুপ্রানিত হবে৷

যারা পেছনের ছোট ভালোবাসা মনে রাখে, তাদের বড় ভালোবাসা দেবার জন্য হৃদয়কে উন্মুক্ত করতে হয়, এটাই আমার থিউরি।

আমার বাবা কয়েক দিন আগে, ৯০ টির মতো ২ কেজি ইলিশ মাছ সবার বাসায় পাঠিয়েছে, ২/৩ টি করে । করোনায় অসুস্থ হয়ে ইলিশ স্বপ্ন দেখেছিলো দুদিন। তার ই কারনে এই ইলিশ পাঠানো। নারায়নগঞ্জ কালিবাজারে সস্তায় বড় ইলিশ পাওয়া যায়৷ ১২০০ টাকা কেজি৷ অথচ, এই একই ইলিশ অন লাইনে দেখি ১৬০০ টাকাও বেচে!

গত কয়েকদিন ধরে আমরা তিন বেলা ইলিশ খাচ্ছি৷ এতো ইলিশ আর কখনো খাওয়া হয় নি। ইলিশের টুকরো দেখলে ভয় লাগে৷ ১১ ইঞ্চি প্রায়৷ বড় সাইজ। মজাও বেশী তাই৷

আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.

পিওন নিয়ে এলো ৩ লাখ

একবার একটি অফিসের পিওনের জন্য আমার ৩ লাখ টাকা রুজী হয়েছিলো। আমি মানুষকে আদর করি, স্নেহ করি, পদ পদবী শিক্ষা ও অবস্থানের জন্য নয়৷ এর পেছনে মূল কারন হলো – আমার স্রষ্টাই তাকে আশরাফুল মাখলুকাতের সম্মান দিয়েছে। আমার দিতে সমস্যা কই? আমার জ্ঞান নিশ্চই আল্লাহর চেয়ে বেশী নয়।

ছেলেটি রাজশাহীর৷ চিকন পাতলা গড়নের। কাজ করতো উত্তরা একটি বায়িং হাউজে৷ আমি দুপুরে নিয়মিত লাঞ্চ করতাম একটি ফাষ্ট ফুডে৷ আমার সাধারনত একা খেতে ভালো লাগে না। ২০০ টাকা বেশী খরচ হলেও পথে কাউকে পরিচিত পেলেই, ধরে, খেতে নিয়ে যাই৷ খুব ছোট বেলা থেকে এটা আমার অভ্যাস। কাউকে কিছু খাওয়াতে খুব ভালো লাগে।

একদিন দেখি, একটা ছেলে ফোনে কার সাথে যেনো বারবার ক্ষমা চাচ্ছে। আমি তাকে চিনতে পারলাম। এইচ এস সি পাশ ছেলেটি। বিনয়ী ও ভদ্র। মায়াময় মুখ৷

বললাম, এই এদিকে এসো। ওকে, বললাম, তোমার নাম অমুক না ?
লাঞ্চ করেছো? ও চুপ।

আমি বললাম – আসো।
ধনী লোকদের সবাই খাতির করে, সমাজের নিম্ন স্তরের মানুষদের খাতির করার লোক খুব কম। ২৪ বছরের এই ছেলেটি দারুন গান গাইতে পারে। আমাকে একদিন ফোন করে বলে- বস, আমার গাওয়া একটা গান ঐ চ্যানেলে দেখাবে। একটু দেইখেন৷ ছেলেটি একটি বায়িং হাউজে বস্তা টানে। তার কাজ কে আমি ছোট করে দেখি না।
গান গাইলেই গাঞ্জা খাবে, বখে যাবে, এমন নয়, অনেকে আছে, বেশ ভালো মানুষ৷ পরিশ্রম করে দু পয়সা রুজি করে খায়!

ফ্রায়েড চিকেন, রাইস আর ভেজিটেবল এলো। সঙ্গে বরফ ভাসা ঠান্ডা কোক৷ আমি তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম – বারবার কার কাছে ক্ষমা চাচ্ছিলে, কোনো সমস্যা?

সে অপ্রস্তুত। আমি বললাম – বলো, যদি কোনো সহযোগীতা করতে পারি?

সে বললো – বস, আমি ২,০০০ টাকা লোন নিছিলাম৷ গত সপ্তায় ফেরত দেয়ার কথা ছিলো। দিতে পারি নাই৷ গালাগালি করতেছে। সামান্য টাকার জন্য অনেক অপমান করলো।

আমি বললাম, টাকা নিছো, দিয়ে দাও।
– আমার হঠাত চাকরি চলে যাবে, বুঝতে পারি নাই৷ শেষ মাসের বেতন না দিয়া বিদায় করে দিছে। নইলে, বেতন পেয়ে এ মাসে দিয়ে দিতাম।

সমস্যা বের হলো – দুইটা।
এক. তার দুই হাজার টাকা লোন৷
দুই. চাকরি নাই৷

আমি একটু হালকা মজা করলাম৷ গান তো ভালোই গাও। টিভি চ্যানেল টাকা দেয় নাই?
সে একটু চিপসে গেলো। – আমি তো নতুন সিংগার, উল্টা খরচ গেছে৷ পুরা এক মাসের বেতন নাই৷

আমি বললাম – এখন কি করবা?
— পথ পাইতাছি না৷ অনেক পরিচিত অফিস আছে, উত্তরার সব চিনি৷ যাইতে হবে। যদি এক জায়গায় হয়ে যায়!

– এখন, আমি কীভাবে তোমার কাজে লাগতে পারি?
-লোনের টাকাটা দিতে পারলে ভালো হইতো৷ দু হাজার টাকা দিবেন?
আমি হাসলাম – আমি তো লোন দেই না কাউকে। লোন দিলে ব্যাংকের এমডি চেয়ারম্যানরা রাগ করে। লোন দেয়া ওদের ব্যবসা৷ হা হা৷ আমি মজা করতেছি৷ ছেলেটির জন্য খারাপও লাগতেছে৷ শিল্পী মানুষ৷ বিপদে পড়ছে। এর মধ্যে মনে মনে ওর দুটা সমস্যার ই সমাধান করলাম।

দুপুরে খাওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম – রাতে খাওয়ার পয়সা আছে?
সে চুপ।
তার হাতে ৫০০ টাকা দিলাম। চাকরি হলে ফেরত দিবা।
সময় দুদিন৷ এর মধ্যে দুনিয়াটা দেখো৷ চাকরি না হলে আমাকে কল দিবা।

ও দুদিন পর খুশী মনে আমাকে কল দিলো, ওর না কি এক জায়গায় কথা হয়েছে৷ থাকা খাওয়া দিবে। বেতন দিবে না।
আমি বললাম, বিপদের দিনে আশ্রয় পাইছো।চাকরি পাও নাই৷

আগামিকাল আসো। দেখা করো। ওর হাতে একটা খাম দিলাম । একজনের নামে এক লাখ টাকার একটা এডভন্স চেক আছে। আমি বললাম, অমুকের কাছে যাও। চাকরি হয়ে যাবে।
এক জায়গায় গোডাউন পাহাড়া দেয়ার জন্য একজন লোক দরকার৷ অনেকটা সিকিউরিটি গার্ড এর চাকরি৷
আগের রাতে তার সাথে কথা বলেছি৷ ছেলেটির সিকিউরিটি চাচ্ছিলো আমার স্বল্প পরিচিত একজন লোক।
তার গ্যারান্টি স্বরুপ এক লাখ টাকার চেক দিয়ে দিলাম।

সেখানে যাওয়া মাত্র ঐ গেডাউনের মালিক তাকে ২৫০০ টাকা দিলো। বেতন ধরেছে ৯ হাজার৷ সেদিন থেকেই জয়েন৷ ঐ লোক বিশ্বস্থ একজন লোক খুঁজতেছিলো।

আমাকে ফোন দিলো ছেলেটি৷ বস, আমাকে তো আসার সাথে সাথে টাকা দিলো ২৫০০৷ বুঝলাম না৷ এটা আবার কি সিষ্টেম?

আমি বললাম, খামটা দিছিলা? বলে- দিছিলাম তো!
আমি বলি, খামের ভেতর পাওয়ার ছিলো। এজন্য দিছে৷
তোমার লোন টা পরিশোধ করো, আর আমি ৫০০ টাকা পাই তোমার কাছে, বিকাশ করে পাঠাও। দশ মিনিট পর, সে আমার টাকাটা পাঠিয়ে দেয়।

আমি বললাম, লোনের টাকা ফেরত দিছো? বলে- *হ্যা, দিছি৷। আমি বললাম – ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঐ লোকের নাম্বার পাঠাও, যার পাওনা ফেরত দিছো।

নাম্বার পেয়ে কল করে জানলাম, হ্যা, সে ২০০০ টাকা
ফেরত দিছে।

আমি বুঝতে পারলাম, ছেলেটি সত্যবাদী, সিনসিয়ার ও সত।। তার মানে আমার এডভান্স চেক একটা পীস অব পেপার। কোনো রিস্ক নাই। ছমাস পরে চেক ফেরত দিবে বলছে। আশা করি অসুবিধা হবে না।

ছেলেটি দুটি সমস্যার সমাধান করলাম, কিন্তু, আমার কোনো টাকা লাগে নি৷ দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সাহস লেগেছে আর কানেকশান দরকার হয়েছে৷

তার দেড় বছর পরের ঘটনা। সে বললো – বস, আজ, উত্তরায় একজন বায়ারের সাথে পরিচয় হইছে, নিয়া আসবো?

কোন দেশের?
-ইরান৷

আচ্ছা নিয়া আসো। আমার ডাইরেক্ট বায়ার ২৯ জন৷ আরেকজন ঢুকতেছে। সেই বায়ারের কাছে মাল বিক্রি করে আমার ইনকাম হয়েছিলো ৩ লাখ টাকা।

ওকে এক লাখ টাকা দিছিলাম৷ রাস্তায় দেখা হলেই, দৌড়ে আসে। তিন বছর আগে দুবাই চলে গেছে।
দুয়েক বছর পর পর ফোন দেয় – কেমন আছেন?
আমি একদিন রসিকতা করে জিজ্ঞেস করি -ইরানিকে কই পাইছিলা?

– গাড়ী পাইতেছিলো না। গাড়ী খুজে দিছিলাম। বায়ার তার কার্ড আমারে দিছিলো৷

আমি হাসি৷

বুঝলাম, তার পুরষ্কার টা বায়ার দেয় নাই, ওপর থেকে আসছে, একজন মানুষকে সহযোগীতা করার জন্য সৃষ্টিকর্তার পুরষ্কার।

সবসময় সকলকে সহযোগীতা করুন৷ কোথা থেকে কী ঘটবে, আপনি তা জানেন না৷ শুনুন,পন্ডিত, আপনি আসলে মূর্খ৷ কারন- আধ্যাত্মবাদের দিব্য দৃষ্টি আপনার মাঝে নেই৷ যাকে ছোট করে দেখছেন, সে হয়তো স্রষ্টার চোখে, আপনার থেকেও অনেক বড় হতে পারে।

মানুষকে ছোট করে দেখছেন?
ষ্টপ ইউর ফাকিং পয়েন্ট অব ভিউ৷
..
.
.

🍏আবদুল্লাহ আল মাসুৃম
the poet of love.

আমি এখন খুব স্পষ্টভাবে সব মানুষকে দেখতে পাচ্ছি।

কে নেগেটিভ!
কার রিসপটিভ পাওয়ার কম?
কে মিথ্যেবাদী?
কে ধৈর্য্যহীন!
কে রিজিড?
কার কমন সেন্স কম?
কে স্বপ্নশূন্য?
কে ভীতু?
কে বেহুদা সমালোচক?
কে শর্ট টেম্পার?
কার ইগো বেশী?
কে অহেতুক তর্ক বাজ?
কে সিনসিয়ার নয়,
কে কমিটেড নয়!
প্রভৃতি৷

অপরদিকে

পজেটিভ,স্বপ্নবান, পরিশ্রমী, সত, সিনসিয়ার, বিনয়ী, নম্র, মিষ্টি, মহানুভব,সহজ, সহযোগী মনোভাবের, মানুষদেরও আলাদা আলাদা ভাবে আইডেনটিফাই করতে পারছি।

আমার চারিপাশে চেনা চেনা মুখের ভীড়ে, পুরোনো চেনার সংজ্ঞা বদলে অভ্যন্তরীন আসল রূপ দেখতে পারার এ সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিকর্তা আমাকে দিয়েছে, নতুন কিছু করবার চেষ্টা করছি বলে।

🍏আবদুল্লাহ আল মাসুম

এক ফোটা বৃষ্টির জল যখন সমুদ্রে মিলিত হয়, তখন তা আর জল কণা থাকে না, বিশাল সমুদ্রে পরিণত হয়। মেঘের গর্ভ ছিড়ে সবেগে পতন প্রয়োজন। নিজ ক্ষুদ্র উচ্চ অস্তিত্ব অস্বীকার করে বৃহত মহাশক্তিতে মিলিত হোন৷ এতে, আপনার রূপান্তর ও এতে আপনার
বৃহত এ নব প্রকাশ।

নিজেকে নতুন করে চিনুন৷ হয়ে উঠুন আসমান ও জমিনের
গতিশীল দূত।

আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.

b-gd

অনেক বড় কিছুকে মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না,
এটা মানুষের দোষ নয়, চোখের সীমাবদ্ধতা।

সৃষ্টিকর্তা, ভালোবাসা, অক্সিজেন, রুহু, সব কিছুই
উপলব্ধির ব্যপার।

উপলব্ধির ক্ষমতা যার নেই,
সে মহাশক্তির সাথে সংযুক্ত হতে পারে না৷
তলানিতে পড়ে থাকে, ওপরে উঠতে পারে না।
.
.
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.

জগতের ৯৫% মানুষ শুধু টাকাকে মূল্যায়ন করে।
আমি, টাকার পাশাপশি, মেধা, শ্রম, সময়, সুন্দর মানসিকতা,কো অপারেশন,বিনয়,ধৈর্য্য,বুদ্ধিদীপ্ততাকে, প্রকৃত শিক্ষা,বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতা,কানেকশান, খ্যাতী, সমাজে অবদান,ভালোবাসা,অন্যায় ও কৃত মন্দ কর্মের জন্য গভীর অনুতাপ ও সততাকে টাকার অংকে মূল্যায়ন করবো।

যারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র বা আপন মানুষ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ,
তাদের সামান্য ক্ষতিপূরন দিবো ক্রমানুসারে
পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করুন।

অফুরন্ত ভালোবাসা৷
.
.
.
.
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.

বিঃ দ্রঃ – আমাকে নক করা থেকে বিরত থাকবেন-
১. শিক্ষা,পদ,খ্যাতী,সম্পদ বা যে কোনো কিছুর জন্য অহংকারী ব্যক্তিবর্গ৷
২.হিংসুটে ব্যক্তিরা।
৩.অসত ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দান কারী৷
৪.স্বার্থপর ব্যক্তিবর্গ৷
৫.অন্যের ক্ষতি করতে অভ্যস্তরা৷
৬.ছোট মনের ব্যক্তিবর্গ
৭.নেগেটিভ মাইন্ডের মানুষ।
৮.সন্দেহ বাতিকে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ৷
৯.ঝগরাটে ও আক্রমনাত্মক ব্যক্তিবর্গ
১০.একতা বিনষ্টকারী ব্যক্তিবর্গ৷
১১.ইগো প্রধান ব্যক্তিবর্গ।
১২.চোর ও অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টিকারী।
১৩.অপকৌশলকারী
১৪.নিন্দুক
১৫.অপপ্রচারে অংশগ্রহনকারী অসচেতন ব্যক্তি।
১৬.বড়দের ছোট করার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি
১৭.অভদ্র ব্যক্তিগন।
১৮.ছিদ্র অন্বেষন কারী ব্যক্তিবর্গ
১৯.অলস ও কর্মবিমুখ ব্যক্তিবর্গ
২০.আপন রুপে অন্ধ নার্সিসাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ ৷
২১.সিজোফ্রনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ৷

প্রতি বছর এক জনের ফ্রী ট্রিটমেন্ট করাবো যাদের সমস্যা আমাদের চোখে ধরা পড়বে – (তাদের সম্মতি সাপেক্ষে)

১. সিজোফ্রনিয়া
২.নেগেটিভ মাইন্ড
৩.জেলাস পিপল
৪.নিন্দুক
৫.ইগোষ্টিক পার্সন
৬.অহংকারী ব্যক্তিবর্গ।

সবার কাছে জানতে চাই, আমাদের পরিকল্পনা কেমন লাগছে? শুধু ব্যবসা নয়, একই সাথে সমাজ পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র বানাচ্ছি। পানি যেমন পরিষ্কার করে ফিল্টার।
এরকম একটি “সোশাল ফিল্টার ইকোনমিক জোন।”

আমাদের সহযোগীতায় ধনী হতে হলে, ভালো হতে হবে। রাইট মেন্টাল ফ্রেম থাকতে হবে।

আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.

একজন মানুষ ঐতিহাসিক ভাবে সফল হতে পারে,
যদি তার থাকে –

Idea
spirit
good vibes
honesty
organising power
quick communication skill
High energy
mentality to give
Unity work preference
Morality
Vision & mission
positive mindset
cool & patient
management skill
Higher connections
Dream.
assets.
Bonding with good persons.
curicity
research

Abdullah AL Masum

৭০০ টাকা ইনভেষ্ট করে, কীভাবে বৈধপথে, সতভাবে আড়াই লাখ টাকা ইনকাম করেছিলাম, আজ সেই ঘটনাটি বলবো।
বিভিন্ন মার্কোটে শো রুম মালিকরা একটি ডেনিম প্যান্ট বিক্রয় করতে লাভ করে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর আমার প্রফিট মার্জিন ছিলো, প্রতি পিস এ মাত্র ৫ টাকা।
৫০ হাজার ডেনিম প্যান্ট এক লটে বিক্রি করেছিলাম।

আড়াই লাখ টাকা লাভ করে এক লাখ টাকা একটি ছাত্র কে দিয়েছিলাম৷ তাকে চিনতাম না৷ সে পাশের টেবিল থেকে উঠে এসে পরিচিত হয়েছিলো, রেষ্টুরেন্ট এ, আমার সঙ্গে একজন ফরেন বায়ার ছিলো৷

ফোনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো তার মামার সাথে।তার মামার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক বিদ্রোহ তৈরী হয়েছিলো। বেতন দিতে পারছিলো না।ভাঙচুর অবস্থা। বড় অর্ডার ক্যানসেল হওয়াতে,আমি মালটা কিনে নিয়েছিলাম বায়ারের জন্য৷

পুরো ডীল করতে আমাকে ফ্যাক্টরি চিনতে হয়েছে। ৭০০ টাকায় একটি স্যাম্পল আনতে হয়েছে৷ গাড়ীর তেল খরচ হয়েছে। শেষ।
বায়ার হাতে ছিলো, বলে, এরকম অদ্ভুদ সব ঘটনা আমার মাথার ওপর পড়েছিলো। বায়ারের টাকা দিয়েই বায়ারকে মাল কিনে দিয়েছিলাম। মাঝখানে পেয়েছিলাৃ কমিশন। এক ধরনের ব্রোকারি আর কি! আমি দেশের মাল বাইরে এক্সপোর্ট করি। বাংলাদেশের দালাল।

ছাত্রটিকে যখন ডীনার খাওয়াতে ডাকলাম ডীল শেষে, সে খুব খুশী, তাকে ফাইভ ষ্টারে ডীনার করিয়েছি।

আমি মিট মিট করে হাসছি। ও জানতো না, ও দুটা মোটা ৫০ হাজার টাকার পেন্ডি পেতে চলেছে। ব্যাগ থেকে বের করে দেয়াতে বলে, কীসের টাকা?
আমি বললাম – তোমার।
সে বলে – টাকা আবার কীভাবে?
আমি বললাম- এটা তোমার রিজিক। স্রষ্টার নির্ধারিত।
ও হ্যাবলার মতো জিজ্ঞেস করে- কীভাবে? আমি কি করলাম?
আমি বললাম – মানুষের উপকার করলে টাকা পাওয়া যায়। তোমার মামার ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, আগুন জ্বলা বাকি ছিলো৷ আমাকে তথ্য দিয়ে ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের জীবন ও মামার ফ্যাক্টরি বাচিয়েছো, তার পুরষ্কার।

সে হা হয়ে তাকিয়ে রইলো।
বললো – উপকার করলাম মামার, টাকা দিচ্ছেন আপনি?
আমি বললাম- আমারও উপকার হয়েছে। বলে, দেড় লাখ টাকা বের করলাম৷ আমি বললাম, তোমার দেয়া তথ্যে আমার আড়াই লাখ ইনকাম হয়েছে৷ তোমাকে এক লাখ দিলাম সেখান থেকে। আমার পকেট থেকে কিছু দেই নি৷ আমি এতো ভালো না। অনেক মানুষ বিনা কারনে আমাকে বেশী ভালো ভাবে। আমি হাসতেছি। ওর চেহারাটা দেখতে আমার খুবই মজা লাগছিলো। আনন্দ পাচ্ছিলাম।

ও অবাক হয়ে বলে- না, না আমার ভয় করছে। আপনি ফান করছেন। এগুলো মনে হয় নকল টাকা, আমি নিবো না। পুলিশ ধরবে!

এবার আমার অবাক হবার পালা। নিজেকে সামলে বললাম- পরীক্ষা করে দেখো?

ও হিসাব মিলাতে পারছে না।
ও বিরবির করে বললো- আমি কি করেছি? ভাবখানা এমন, সে চুরি করে ধরা পড়েছে!

হা হা৷

আমি বললাম – তুমি নিজের অজান্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করেছো। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছো, যার ফলে আমার বেশ কিছু টাকা ইনকাম হয়েছে৷

আপনি আমাকে কেন দিলেন, জানতে পারি?
আপনি না জানালে তো জীবনেও জানতাম না যে, এ জন্য আমার টাকা পাওয়া উচিত। আমি কি যে কোনো তথ্য দিলেই আপনি আমাকে টাকা দিবেন?
আমি হাসতে হাসতে বলি- কেন, আমাকে দেখে বোধাই মনে হয়! আমার ইনকাম হলে,আমি ভাগ দেই। তথ্য কিনি না নগদ টাকায়৷

আমার খুব একটা জিনিস জানার ইচ্ছা – আমাকে কেন জানালেন?
আমি বললাম- এটার পেছনে ব্যবসায়িক কারন নয়, আধ্যাত্মিক কারন আছে। আমি নিজের কাছে সত থাকতে চাই। নিজের কাছে সত থাকলে মাথা উচু থাকে। এভারেষ্ট এর থেকে উচু। আকাশের আভে গিয়ে ঠেকে। তুমি, ছোট মানুষ বুঝবে না আমার কথা।
আরেকটা কারন আছে, কাউকে না ঠকালে ও ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করলে, হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। আমি একটু লোভী৷ অনেকের জন্য অনেক কিছু করতে হবে। হাজার কোটি টাকা চাই। মানুষ মনে করে – দিলে কমে, আসলে, দিলে, সাত আসমানের ওপর প্রাপ্য অংকটা
লক্ষ গুন বেড়ে যায়৷

আচ্ছা, তুমি তো ষ্টুডেন্ট মানুষ, এই টাকা দিয়ে কি করবে?
-আমি তো প্রেম করি। ওকে চাইনীজ খাওয়াবো।
-বেশ। আর?
-আইফোন কিনবো।
-আমার পরামর্শ শুনলে তুৃমি অনেক ধনী হতে পারবে।
মাকে শাড়ী কিনে দিও৷ বোন আছে?
-হ্যা। ছোট।
-ওকেও কিছু একটা উপহার দিও৷
-আচ্ছা।
– আগামি মাসে আমাকে ১০ হাজার টাকা দিও। আমি দেখাবো তোমাকে, কীভাবে সেটাকে এক বছরে আট গুন করা যায়!

আমি অবাক হয়ে দেখলাম, সে আমার সব কথা বিশ্বাস করছে। আমার ছয়গুন করার লাইন ছিলো তখন৷ আবেগে বাড়িয়ে বলেছিলাম খানিকটা।

ত্রিশ হাজার টাকায় ভালো মোবাইল কিনবে। পনেরো হাজার টাকায় একটি সাইকেল কিনবে, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ১০ হাজার টাকা জমিয়ে রাখবে। তোমার লটারি ভাগ্য ভালো। এক হাজার টাকার লটারি কিনবে।
তোমার গালে একটি তিল দেখতে পাচ্ছি। এটি খুবই ধনী হবার লক্ষন৷

তুমি যে দেখতে ভালো নয়, জানো?
-জ্বী, জানি।
– মানুষের চেহারা হলো সাইন বোর্ড। আসল মূল্য সাইন বোর্ডের নয়৷ জমিনের।
জমিন হলো হৃদয়। একে নির্ভেজাল রাখবে। মনে থাকবে?

আমি যেভাবে বললাম- যদি আমার সব কথা শোনো,
হয়তো আমি তোমার আরো কাজে লাগবো। আমাকে স্যার বলবে না। ভাইয়া বলবে। আমি ব্রিটিশ শাসকের বেনিয়া রক্ত নই। এ দেশের সন্তান।
আমি, বাংলা মায়ের দামাল সন্তান।

আমাকে অন্য একটা জরুরী মিটিং এ যেতে হতো। চলে গিয়েছিলাম৷ ভেবেছিলাম, ছেলেটি দশ হাজার টাকা দিবে, পরেও আমাকে ফোন করবে!

সে আর কখনো যোগাযোগ করে নি।
আমি অনেক ভেবে দেখলাম, হয়তো সে ভয় পেয়েছিলো!
হয়তো ভেবেছিলো, আবার দেখা হলে, যদি সব টাকা ফেরত চাই। অথবা অন্য কিছু। মোবাইল নষ্ট হওয়াতে তার নাম্বার হারিয়ে গেলো। আসল কারন জানা হলো না।
সে এক রহস্য!

আবদুল্লাহ আল মাসুম
দি স্পিরিচুয়াল ফীগার।

b-g.d

নীচের ছবিতে থাইল্যান্ড, ইরান, ইউএস এ, তুর্কি, ইরান, সিংগাপুর, ও অন্যান্য বায়ারের সাথে আমি। মাত্র ২৯ জন ডিরেক্ট বায়ারকে চিনি আমি যা গত ১৩ বছরের শ্রমের ফলে হয়েছে। একজনের এক কোটি টাকা আর আমার কানেকশান এক সমান মূল্য।

আমার শোলক বুঝলে বুঝুক,
না বুঝলে খুঁজুক৷

Back To Top