কবিতা: (১৬) জলের গাঁয়ে বিলি কেটে
জলের গাঁয়ে বিলি কেটে
ফিরে যাবো গাঁয়..
মেঘ থেকে জল বৃষ্টি হয়ে
নাচবে আমার পায়!
পায়ে পায়ে উতলা জল
পাহাড় চূড়ো বায়..
ঝরনা হয়ে নেমে আসে
অচিন নদীর গায়!
নদী চলে এঁকে বেঁকে
সাগর মোহনায়..
এক ফোঁটা জল ঘুরে ফিরে
সমুদ্র নাম পায়!
সূর্য আবার শুষে, ওড়ায়
মেঘের মৃদু বায়..
বৃষ্টি মেশে অশ্রুজলে
আর কি সওয়া যায়?
.
.
.
জলের কাব্য
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love..
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড,ঢাকা, বাংলাদেশ৷
৮ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ৯.১০।
প্রেমিকের ভান ধরতে পেরেও
প্রেমিক সবাই নয়..
মানুষ ও কবিকে ডিঙিয়ে তবেই
প্রেমিক হতে হয়৷
কামনার ফলে, জন্মায় মনে
যেটুকু গরম জল..
তাকে ঢেকে রেখে, হৃদয় খোঁজে কি
সুখপাখি নিষ্ফল?
মাথা থেকে নয়, হৃদয় থেকে
যখন কাঁদবে দিল..
দেহ মন হবে আমোদে অধীর
হিন্দোলে অনাবিল!
কিউপিড তার তীর ছুড়িয়াছে
লক্ষ্য করিয়া ভেদ –
ধরে নেয়া যাবে, সুবাসিত মন!
সেখানে নাই তো ক্লেদ!
প্রেমিকের ভান ধরতে পেরেও
প্রেমিক সবাই নয়..
সেটা হবে, প্রেম! হৃদয়ের সাথে
যদি সংযোগ হয়!
নিজের সঙ্গে মিথ্যে বলো না
করো না কখনো ভান!
পার্থিব প্রেমে লালসা শুধুই
মনে নাই সেই টান!
ঠিক এসবের ঊর্ধ্বে উঠিয়া
ভালোবেসে যদি যাই..
স্বর্গীয় প্রেম আসবে ভুবনে
এর মতো কিছু নাই।
.
.
.
স্বর্গীয় প্রেম
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
৮ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ১১.৩০
বেইলী রোড,ঢাকা,বাংলাদেশ।
ছয় অন্ধের খায়েশ হয়েছে
দেখবে তাহারা হাতি..
বহূ পথ পাড়ি দিয়ে এলো তারা
গেলো একদিন, রাতি!
প্রথম অন্ধ কান ধরে, ” হাতি
কূলার মতন বড়! “
দ্বিতীয় কহিলো শূর ধরে তার,
” অজগর যেনো, ধরো! “
তৃত্বীয় অন্ধ পিঠে হাত দিলো
ভালো করে করো খেয়াল!
হাতি হলো তবে, একদম বড়
বিশাল একটি দেয়াল!
চতুর্থজন দাঁত চেপে ধরে
বললো, হাড়ের মতন!
পঞ্চম জনে লেজ ধরে বলে –
“দড়ি রে পুরাই, রতন! “
রতন কহিলো ঠিক নয় তা যে
জাবরে রহিলো পায়..
“হাতি হলো গিয়ে খাম্বার মতো
সহজেই বোঝা যায়৷ “
অন্ধের মতো যারা দেখে হাতি
জীবনে পায় না কূল!
শুধু ধর্মের দূরবীন দিয়ে
জীবন দেখাও ভুল৷
জ্ঞানের অনেক শাখা আছে আর
প্রতিটাই প্রয়োজন..
অন্ধের মতো জীবন দেখি না
চলো করি সবে পণ!
.
.
.
.
অন্ধের হাতি দর্শন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ,
৯ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ১০.৫২
সকলে শুধুই জানবার চায়
কী করে আটকে রাখা,
সম্ভব হবে, প্রয়োজনে তারা
ভাঙবে সাথীর পাখা!
শেকল ভেঙে বেরিয়েছে যারা
খোঁজ করে দেখা গেলে !
আটকে রাখার চেষ্টায় ছিলো
নিঃশ্বাস বেঁধে ফেলে!
সত্যিই যদি আটকাতে চান
স্বাধীনতা, সম্মান,
ভালোবাসা, দিয়ে যত্নে গড়ুন
ভুলে মিছে অভিমান!
সম্পর্কের ভিত্তি হলো
ততোটুকু বিশ্বাস –
যতটুকু না হলেই পরে
বাঁচে না তো নিঃশ্বাস!
ভরসা করুন, আর সম্মান
কখনো যাবে না দূরে!
আকাশে উড়ে সে নিজের আলয়ে
ফিরবেই উড়ে, ঘুরে!
ভাঙন হবে না, মরে যাবে না তো
অজান্তে দুটি মন!
কীসে আটকায়, প্রশ্নটা ভুল
ফিরে এসো কোটি জন!
.
.
.
.
ভুল প্রশ্নের উত্তর
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
১১ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ৯.৩০
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ।
জ্বালামুখ খুলে দিয়েও, ঝরোনায় গা ভিজিয়েও আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে, চাতকী,
সেটাও হাসিমুখে সয়েছি৷
আমি রাগ করি না৷
যতোটুকু আছে, সামান্যই, অভিমান।
.
.
.
কবিতা
অভিমান
আবদুল্লাহ আল মাসুম
কবিতা
প্রেমের রোশনাই
আবদুল্লাহ আল মাসুম
সূত্র মেনে আসে না প্রেম
মনের গহীন কোনে-
কি কারনে, কার কারনে
কোথায়, বা কোন ক্ষনে!
ধর্ম, সমাজ, ভূগোলের আইন
মানে না তো, তাই-
হঠাৎ জ্বলে, অচিন চোখেও
প্রেমেরই রোশনাই!
যেখান থেকেই আসুক সেটা
যেভাবে তা আসুক!
এই জীবনের দীর্ঘ পথে
যে বা ভালোবাসুক-
ধরে রেখো হৃদয় মাঝে
এমন উপহার –
একটি জীবন ফুরিয়ে গেলে
আসবে না তো আর৷
যাহার চোখে দেখবে আলো,
এমন জ্যোতির্ময়-
মনের আলোয় অর্ঘ্য দিও
যা চিরদিন রয়!
সুরের মাধুরীকে অতিক্রম করে অসীমে ছড়ায় যে সুষমা, তাকে রাখি, লাও হে মাহফুজের উচ্চতায়।
আমার পাদাবলী, মিষ্টি কবিতায়।
স্বপ্ন এতো মিষ্টি কেন হয়?
কারন, স্বপ্নে
প্রেমের ধারা বয়৷
অমিয় সূধা সাত আসমানে
বৃষ্টির মতো ঝরে..
কবিতার দেহে আমার বিলাপ
তোনাকে মনে পড়ে!
.
.
.
.
তোমাকে মনে পড়ে
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ
৯ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ১১.৩০।
তুমি না কি চেয়েছিলে?
আবদুল্লাহ আল মাসুম
সুরে সুরে কাছে দূরে
খুঁজছিলে আসমান!
দুচোখ তোলো, এই তো আমি
নাচুক তোমার প্রান!
বয়ে যেতে চেয়েছিলে
ঝুলন্ত ঝরোনায়-
এই তো, এসো! আসুন প্রিয়!
বুকের মাঝে আয়।
চেয়েছিলে অধীর হয়ে
সমুদ্র সংগম-
বৃষ্টি হয়ে ঝাপিয়ে পড়ো
দেখি, কতো দম!
তুমি না কি চেয়েছিলে
জোছনা, হতে, চাঁদ!
নগ্ন পায়ে পথে নামো
বনে যাবার স্বাদ।
ফুটতে না কি চেয়েছিলে
হয়ে কোনো ফুল?
আমার বাগিচাতে ফোঁটো
গেলে, যাবে, কূল!
চেয়েছিলে, স্বপ্ন হতে?
জুড়ে কারো চোখ?
তবে তোমার স্বপ্ন নিয়ে
জগত বিভোর হোক!
তুমি না কি চেয়েছিলে?
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ
৯ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ১১.৩০।
কবর
(জীবনের গল্প _২)
আবদুল্লাহ আল মাসুম
.
.
.
পুত্র আমার আট বছরের
রাজপুত্র যেনো –
এই তল্লাটে তার মতো কেউ
ছিলো না, এ কথা মেনো৷
.
.
সারদিন আমি ক্লান্ত হয়ে
গেলে দিতো বুকে থাবা..
কতো কথা বলে, পরান জুড়িয়ে
ডাকতো আমায় বাবা!
.
.
মাঝে মাঝে তার চকোলেট সে
লুকিয়ে রাখতো ছলে!
আমাকে পেলেই মুখে পুরে দিতো
কোন এক কৌশলে!
মাঝে মাঝে সে কোলে উঠে, পরে
শুনতে চাইতো গান!
আমি কি পারি গাইতে তেমন?
তবু তার অভিমান!
টেলিফোন করে বলতো আমাকে
এটা, ওটা এনো, বাবা!
সে ছিলো আমার বুকেরই ধন
যেনো কোনো এক কাবা!
একবার তার হাত কেঁটে গেলো
ওষুধ লেগেছে দুটো!
তার চোট যেনো আমার হৃদয়ে
ছিড়ে করে দিলো ফুটো।
একবার তার জ্বর হয়েছিলো
খেতে পারে নি তো কিছু!
অসময়ে আমি জোগাড় করেছি
তরমুজ আর লিচু৷
চঞ্চল খুব, দুষ্ট ভীষন
আটখানা আহ্লাদে-
তাকে টাঙালাম আমার আকাশে
একটি মাত্র চাঁদে!
মাটিতে রাখি নি, পিপীলিকা খাবে!
মাথায় রাখি নি, কারন-
উকুনেতে খাবে, কোনো কিছু খাবে?
এভাবে খাওয়া তো বারন!
পাশের বাড়ীর টুকটুক ছিলো
তার খেলা করা সাথী!
এখন তাকে যে, দেখলেই শুধু
নামে মনে ঘোর রাতি!
কান্নায় আমি ভেঙে পড়ি আর
তার শূন্যতা ঘিরে-
হাজার শকুনি, বুক খামচায়
লক্ষ স্মৃতির ভীড়ে!
একদা অসুখে রোগে শোকে ভুগে
বাচ্চাটি হলো লাশ-
কোথায় লুকাই গগন বিদারী
আমার দীর্ঘশ্বাস?
নিজ হাতে আমি কবরে নামাই
এই টুকু তার দেহ-
আমার বুকেতে ফেরাতে তাকে তো
পারবে না আর কেহ!
মাটি চাপা দেই, গোরস্থানে
বকুল গাছের তলে-
তিনটি বছর ভিজিয়েছি মাটি
দু’নয়নের জলে!
কবরে রয়েছে, মানিক আমার
কতো না অন্ধকারে!
সেই কবরেতে ফিরে যাই শুধু
পাবো এই অধিকারে!
স্মৃতির বাহক আমরা সবাই
ফিরে তো আসে না খোকা-
আমাকে ছেড়ে যে কোথায় পালালি
কি করে থাকিস, বোকা?
কথা বলে না তো, দুষ্টুমি নেই
নেই কোনো আবদার..
খোকার কবর নির্জন ভূমি
বিরান বেদনা ভার।
আমি মরে গেলে, দিও গো কবর
আমাাকে খোকার পাশে-
ঝরো ঝরো ঝরো ঝরবে শ্রাবন
কোন আগত মাসে!
বৃষ্টির জল শেষ হয়ে যাবে
চোখের জল তো নয়-
আমার খোকার কবরে যেও গো
যদি বা সময় হয়!
.
.
.
.
কবর
(জীবনের গল্প _২)
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ
১৩ আগষ্ট ২০২৩, রাত ১২.৩০
যদি তুমি ধরতে আসো
আমার অনেক ভুল-
মানুষ থেকে বদলে আমি
ফুটবো হয়ে ফুল!
যদি তুমি দেখো আমার
অনেক অপরাধ..
রইবো না আর মানুষ আমি
হয়ে যাবো চাঁদ!
যদি আমায় ঘৃনা করো
রাখতে দূরে চাও –
ঝরনা হবো হঠাৎ আমি
আর পাবে না, যাও!
যদি আমায় ঈর্ষা করো
দূরে দূরে রও!
আমি হবো একটি ময়ূর!
তুমিও তা হও!
যদি আমায় দুঃখ দিতে
হও গো পেরেশান!
আমি হবো ঊষার সময়
ভৈরবী এক গান!
যদি আমায় ভালোবেসে
টানতে কাছে চাও!
মানুষ হয়েই বাঁচবো আমি
যাবো না কোথাও!
.
.
.
.
যদি আমায় ভালোবেসে
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
১৭ আগষ্ট ২০২৩, ৩.৫৯ বিকেল
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ৷।
কার মায়াবী চাঁদ নিঃসঙ্গ একাকী?
আমার বুকে বাজে সকরূন!
যায় তা দেখা কি?
কার হৃদয় কাঁদে
একটু ভালোবাসার জন্য!
সে কি হতে পারে
জীবনে অগ্রগণ্য?
কার বোবা হতাশা
একাকী ভাষা পায়?
সে কি কাঁদতে পারে
আবার ভালোবাসায়?
.
.
.
.
নিঃসঙ্গ মায়াবী চাঁদ
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
১৮ আগষ্ট, ২০২৩, রাত ১০.৪৩
বেইলী রোড৷ ঢাকা, বাংলাদেশ
ঠকতে ঠকতে একদিন যাবো জিতে!
ধূরন্ধর এ দূর্বার পৃথিবীতে!
একদিন হবো আমি সকলের প্রিয়..
হৃদয়ে আমার ভালোবাসাটুকু নিও।
একদিন হবো স্মৃতির খেয়াটি পার..
আসবে সময়, নীলাকাশে ছড়াবার।
রঙধনু হয়ে একদিন হবো আলো..
ঠকতে ঠকতে, আমি হবো আরো ভালো।
ঠকতে ঠকতে
আবদুল্লাহ আল মাসুম
কবিতা| শোনো, লুপ্ত আগুন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
.
.
.
আমার লুপ্ত আগুন, আরো বেশী গনগনে হয়ে ওঠো৷ ইতিহাসকে অতিক্রম করে,
আরো স্বপ্নীল আর তপ্ত হয়ে ওঠো।
হয়ে ওঠো তেজস্বী অশ্ব৷
হৃদয়ের সাথে করো হৃদয়ের
অবাধ সংগম৷
তুমি আরো দূর্বার বলাকার মতো
মেলো তোমার আয়েশী ডানা!
আমি তোমার সাথে উড়ে যাই দূর দিগন্তে, অনন্ত ঠিকানায়!
চেনা থেকে অচেনা, অজানায় ভ্রমন তাদেরকে চঞ্চল করে রাখে।
তারা যায় এবং ফিরে ফিরে আসে৷ এ ফিরে আসাকে প্রেম বলে কী না, আমি জানি না!
আমার এ অনড় অপেক্ষাকে প্রেম বলে।
যদি এসে ফিরে যায় সারথী!
সেজন্য আমি না নিদ্রা যাই!
না তন্দ্রাচ্ছন্ন!
দাড়িয়ে আমি৷ আর তাদের ফিরে ফিরে আসা!
এরই নাম ভালোবাসা!
.
.
.
.
কবিতা\ভ্রমন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
.
.
.
না চাইতেও আমি তোমার মায়ায় পড়েছি।
কেন তোমাকে ভালোবাসি, তা জানি না৷
তবে, ভালোবাসি, খুব বেশী, এটুকু জানি৷
সারা দিবা নিশি, প্রতিটি মহেন্দ্রক্ষন
কাউকে অনুভব করা যদি ভালোবাসা হয়,
সত্যি তোমাকে ভালোবাসি৷
জীবনের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে
যদি কেউ প্রশ্ন করে
আমি কি চাই? কতটুকু চাই?
আমি নির্বিঘ্নে বলবো
আমার সবটুকু দিয়ে
শুধু তোমাকে চাই৷
অনাদি থেকে অনন্তের নিরীখে
গ্যালক্সি থেকে নীহারিকায় ছড়িয়ে দেই
একটি আরতি…
ভালোবাসি তোমায়৷
কবিতার শরীরে জ্বলজ্বলে হোক
একটি অবিনাশী শিরোনাম
“ভালোবাসা “!
.
.
.
.
অবিনাশী শিরোনাম
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বদলাবো পথ, প্রয়োজন হলে
লক্ষ্য কখনো নয় –
বাঘকে কখনো নদী পার হতে
দেখেছো নিশ্চয়!
স্রোত যদি তাকে ঠেঁলে, বেঁকে নেয়
আবার সে সোজা আসে-
লক্ষ্যের পথে অবিচল থেকে
পথ পেরিয়ে, হাসে।
যতোই ছোট হে, চারিদিকে তুমি
ওড়ো দ্বিগবিদিক-
জয়ী হতে হলে, সব কৌশলে
লক্ষ্য রাখিয়ো ঠিক৷
.
.
.
.
লক্ষ্য
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৩.৫০৷
বেইলী রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ৷
কাউকে টানিয়া নীচে নামানোর
চেষ্টা করো না কভু-
সাত আসমানের ওপরে বসিয়া
গোস্বা করিবে প্রভু৷
পারো যদি তুমি অন্যের মতো
দেখাও হইয়া বড়-
দেশটা তবে ওপরে যাবে
সবাই মিলিয়া গড়ো।
হিংসায় কোনো উপকার নেই
কে পেলো, কি, কবে!
অহিংসাই পরম ধর্ম
কল্যাণ আনে ভবে।
#ঈর্ষা_করো_না
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
জীবন আমাকে ডাকে
তবু আমি মৃত্যুর কোলে বসে থাকি৷
হাহাকার চিতকার সব
নীরব আর্তনাদে নির্বাসিত হয়।
তিক্ত রসের ধারায় শিরা উপশিরা হয় প্লাবিত।
বাস্তবতার তীব্র দহনে
ছটফট করি অনাদি থেকে অনন্ত।
জীবনের খাঁচা ছেড়ে মৃত্যুর কাছে চাই বেপরোয়া মুক্তির স্বাদ৷
বিষন্ন দুপুর বিকেল সন্ধ্যা
আমাকে দেয় শুধু বিষের
অনিঃশেষ জ্বালা।
ঝুলে থাকি জীবনের ওপারে।
না জীবন না মৃত্যু কোনটাই পাওয়া হয় না।
কবিতা
না জীবন না মৃত্যু
আবদুল্লাহ আল মাসুম
১৭/১২/২০২৩