skip to Main Content
ছড়া: (২) খোলাচিঠি

ছড়া: (২) খোলাচিঠি

আমার আকাশটাতে এখন
তারার মিটি মিটি-
প্রচন্ড এক আবেগ নিয়ে
লিখছি খোলা চিঠি! 

কখন, কবে, কোথায় তুমি
পড়বে চিঠিখানা –
তোমার মতো আমারও নাই
সেই কথাটি জানা।

না জানা থাক, তাতে কোনো
অসুবিধা নাই-
বলছি,শোনো- আমি তোমার
বন্ধু হতে চাই।

যদি আমায় বন্ধু ভেবে
বাসতে পারো ভালো-
তবে, দেবো পাঁচশো কেজি
জোনাক পোকার আলো।

আমার বুকের সমুদ্রটাও
তোমায় দিয়ে দেবো-
শুধু,  আমায় তোমার প্রিয়
বন্ধু বলে ভেবো।

হিমালয়ের চূড়ো নেবে ?
আচ্ছা, না হয়, তাও-
সাথে, দেবো,  রঙধনুকের
দুষ্টু ছেলেটাও! 

কনকনে শীত, এলে, হবো-
একটুকু রোদ্দুর-
রইবো তোমার মনের কাছে
যতোই থাকি দূর! 

কেউ যদি দেয়,  দুঃখ তোমায়
বেশী কি বা কম-
জানলে হবো- সমব্যথী! 
তোমার উপশম।

ভুল বুঝো না,  সামন্যতে
করে অবিশ্বাস-
বন্ধু মানে দুটি দেহে
একটাই নিঃশ্বাস! 

চিরটাকাল রইবো পাশে
হয়ে মনের সাথী –
মজা করে কাকতাড়ুয়া
ডাকবো তোমায় হাতি! 

ভালোবাসার অধিকারে
বড় আমার চোখে –
তা তুমি সে, যেমনই হও
বলুক না যা লোকে! 

লিখবে তুমি পড়বো আমি
আসবে আমার হাতে-
পত্র দিও, বন্ধু হলে,
নীচের ঠিকানাতে-

চৌষট্টি এম বাই ছয়
আর কে মিশন রোড-
এটা ঢাকার টিকাটুলি
বারোশ তিন কোড।

ঠিকানাটি যত্ন করে
খাতায় টুকে রাখো –
নইলে, পরে খুঁজেও আর
হয়তো পাবে না কো! 

খোলাচিঠি
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
রচনাকাল-২০০১
স্থান- গোপীবাগ, টিকাটুলী, ঢাকা।
www.abdullahalmasum.com



হাতি এসে লাথি দেয়
চুনোপুটি, ছুচোকে-
কেউ হাসে ফিসফাঁস
কেউ দেখে কু চোখে! 

যতো হোক সাধারন
যতো হোক ক্ষুদ্র-
হোক কেউ ব্রান্মন,
হোক কেউ শুদ্র! 

পথে ঘাটে কাউকে
মার দেয়া অন্যায়-
নীতি, আর ধর্ম কি
ভেসে গেছে বন্যায়?

মানসিক দৈন্যতা
এতো হলে পষ্ট-
বলা যায়, রাজনীতি
হয়ে গেছে ভ্রষ্ট! 

মার খেলে চুনোপুটি
কেউ হাসে রঙ্গে-
তাকে নিয়ে কথা হবে
খোদ জাতিসংঘে! 

যে ই হোক, অবিচার
হলে তার সঙ্গে-
ডেকে আনে,  বদনাম
আমাদের বঙ্গে! 

অন্যায়, অবিচার
হাতি ফেলে গর্তে! 
এই কথা ধ্বনি তোলে
স্বর্গে বা মর্তে! 

#প্রতিবাদ
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
বেইলী রোড, ঢাকা।
১৯ জুলাই, ২০২৩, দুুপুর ২.১৬
www.abdullahalmasum.com



স্যাটায়ার ও ফানি ছড়া

১. কনের চাওয়া
আবদুল্লাহ আল মাসুম
.
.
.
.
ছেলে হবে কোটিপতি
থাকতে হবে বাড়ী –
বিসিএস এ উত্তীর্ণ
সাথে একটা গাড়ী! 

লম্বা হবে ছ’ফিট এবং
বডিটা সিক্সপ্যাক-
বিয়ের আগে ভালো মতো
করে নিবো চেক! 

চেহারাতে রোশনাই চাই
যেনো নায়ক ফেল-
ভ্রমন প্রিয়,  বিশেষ করে
পছন্দ যার রেল! 

ফর্সা ছেলে পছন্দ, যে
দেখতে কেরিয়ান –
এমন ছেলে পছন্দ, যে
গাইতে পারে গান! 

হাজী হলেই সবচে ভালো
মদ, সিগারেট নেই! 
বলতে কথা,  টাইম দেবে না
কোনো মেয়েকেই! 

বংশ ভালো, শান্ত স্বভাব
ঢাকাতে যার বাস –
এমন ছেলেই খুঁজছি আমি
গত বারো মাস! 

ফিল্মে আমি নায়িকা হলে
খুশী হবে, আর –
নিন্দা,  ঘৃণা যতোই করি
থাকবে গুঁজে ঘাড়! 

বাবা মাকে টাকা দেবে
চালাতে সংসার –
জীবন ভরে হাসি মুখে
দেবে শুধু ছাড়! 

পাত্র এমন, থাকলে কেউ
করতে বিয়ে চাই –
যোগাযোগের ঠিকানা এই-
‘ঘটক পাখি ভাই’!
.
.
.
.
.

২.
বশীকরন তাবিজ
আবদুল্লাহ আল মাসুম
.
.
.
.
বউ শোনে না কথা আমার
বশীকরন চাই –
হঠাৎ এক বিজ্ঞাপনে
কবিরাজ মশাই

ঘোষনা দেন- খুব সহজে
আয়ত্বে বউ, রয় –
এক তাবিজে, হাজার প্রকার
ওষুধের কাজ হয়।

গেলাম সেথায় সময় নিয়ে
বহূ ক্রোশ পথ ঘুরে-
ভেবেছিলাম, কাছে হবে! !
এসে দেখি- দূরে! 

তাবিজ নিতে গিয়ে দেখি
কবিরাজ খুব রেগে..!
চিঠি রেখে, প্রেম করে তার,
বৌ গিয়েছে ভেগে!

আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love
বেইলী রোড,  ঢাকা, বাংলাদেশ
www.abdullahalmasum.com
২৪ জুলাই, ২০২৩, দুপুর ২.১৬



চারিদিকে ডেঙ্গু জ্বরের
প্রকোপ অনেক বেশী –
ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু আসে।
মরছে প্রতিবেশী! 

নীচের বিবরন মোতাবেক
থাকিলে লক্ষন-
মেডিকেলে যেতে হবে
নিয়ে রোগীগন৷

চোখে ব্যথা, পেছন দিকে
তীব্র ব্যথা,  (মাথা)-
বমি বমি ভাব হবে খুব
গায় জড়িয়ে কাঁথা! 

গ্লান্ড ফুলবে, সাথে হবে
চামড়ায় ফুসকুড়ি-
শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা
প্রচন্ড ধুত্তুরি!!

তীব্র পেটে ব্যথার সাথে
কমবে platelet-
চিহ্ন গুলো ডেঙ্গু বোঝায়
না হয় যেনো Late! 

অবহেলায় মৃত্যু আনে
হতে পারে কাল-
চারিদিকে ডেঙ্গু এখন
খারাপ খুবই হাল।

লক্ষন সব দেখতে পেলে
দেখাবেন ডাক্তার-
সাথে আমার এই মিনতি
একটি কথা, আর-

নোটিশ ছাড়া,  কে যে কখন
হয়ে যাবো লাশ! 
ছোট্ট মশা নেবে জীবন
হচ্ছে না বিশ্বাস?

ময়লা পানি ডেঙ্গু মশার
আসল বাড়ী ঘর-
বারান্দা, টব!  জমা পানি! 
অনেক বড় ডর! 

আমরা সবাই হই সচেতন
থাকবো পরিষ্কার-
ধ্বংস হবে, ডেঙ্গু মশার
বংশ ও বিস্তার।

.
.
.
.
.
ডেঙ্গু জ্বর
ছড়াকার
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা৷
২৫ জুলাই,  ২০২৩, রাত ১.৫০



এক কাপ চায়ে
কেড়ে নিতে পারো মন –
জীবনের কাছে
বেশী চাওয়া নেই
আমি খুব সাধারন।

এক কাপ চায়ে
চুমুক দেয়ার
ফাঁকে হাসি অকারন-
জুড়াবে হৃদয়
টানবে নিকটে
আমি খুব সাধারন।

বড় স্বপ্নের টানাপোড়েনে
নেই তো আকর্ষন-
তোমার মতোই গল্প প্রিয়
আমি খুব সাধারন।

অতো বাড়ী, গাড়ী,
খ্যাতী রকমারী
নাই কোনো প্রয়োজন-
মিষ্টি কথার পাগল আমি
কথা শোনে ভরে মন।

চাইবার কিছু নেই তো তবুও
ভালোবাসি প্রিয়জন-
জ্ঞানী,  গুনী, ধনী মানুষের ভীড়ে
আমি খুব সাধারন।

আমি_খুব_সাধারন
আবদুল্লাহ_আল_মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com


বেশ করেছে
ছড়াশিল্পী
আবদুল্লাহ আল মাসুম

বয়েস হলো চল্লিশ ঠিক
হয় নি বিয়ে,  থা?
বেশ করেছে!  বেশ করেছে!
তোর কি তাতে?  হা?

অফিস থেকে ফিরতে মেয়ের
বাজে বারোটা?
বেশ করেছে!  বেশ করেছে!
তোর কি?  তাতে?  হা?

লিভ টুগেদার করছে ব্রাদার –
কেউ সিঙ্গেল,  হলো মাদার! 
কোনো ছেলে হাতে গলায়
পড়ছে গহনা! 
বেশ করেছে,  বেশ করেছে!
তোর কি তাতে?  হা?

মেয়েকে বিয়ে করেছে মেয়ে
যেমন হবার না! 
বেশ করেছে!  বেশ করেছে!
তোর কি তাতে?  হা?

টক্সিক এক ফ্যামিলি ছেড়ে
হয়েছে আলাদা..
বেশ করেছে!  বেশ করেছে! 
তোর কি?  তাতে?  হা?

ডিভোর্স নিলো ওরা দুজন
জানলো সবাই,তা-
বেশ করেছে!  বেশ করেছে! 
তোর কি?  তাতে?  হা?

লিভ ইন করে, কেউবা আবার
বাস করে একলা-
বেশ করেছে!  বেশ করেছে! 
তোর কি?  তাতে?  হা?

বিয়ের পরেও দশ বছরে
সন্তান হয় না?
বেশ করেছে!  বেশ করেছে! 
তোর কি?  তাতে?  হা?

কাউকে ভালো না লাগিলে
এড়িয়ে তাকে যা! 
নাক গলানো বন্ধ করিস
অযাচিত যা! 

জীবনটা যার,সে গড়বে!
অন্য কেউ না!
নাক গলানো বন্ধ করে
সভ্য হয়ে যা!
.
.
.
.

বেশ করেছে
ছড়াশিল্পী
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
২৭ জুলাই ২০২৩, ৭.৪২ সন্ধ্যা৷
www.abdullahalmasum.com


মেঘের পানে চেয়েছিলো হলুদ ফুল..
হারিয়ে গেছে অকারনে সোনার দুল! 

রাত বাসরে,  প্রনয় গামী দেহের কূল-
মেঘ গর্ভে, সংঘর্ষে হুলুস্থূল! 

আকাশ থেকে নেমে এলো বৃষ্টিজল! 
ফুলের দেহ উঠলো হয়ে কী চঞ্চল! 

জলের ফোঁটায়,  মিষ্টি সুরে বাৎসায়ন-
কোমড় দোলায়,  মনটি ভুলায় হয় রমন! 

ফুলকলিদের মনের তৃষা চাচ্ছে সুখ! 
ভালোবাসায় সেরে যাবে সেই অসুখ! 

বাতাস ছিড়ে, আকাশ থেকে, বৃষ্টি আয়..
কুঞ্জবনে.. প্রেম ছড়িয়ে যাক ধরায়।

#ছড়া
#ছড়াশিল্পী_আবদুলাহ_আল_মাসুম
The poet of love.
৪ আগষ্ট, ৪.২২ বিকেল। ২০২৩.
www.abdullahalmasum.com
Photography_প্রজাপতি প্রকৃতি


মিষ্টি করে কইলে কথা
আর কিছু না চাই..
জোরে কথা বললে পরে
টা টা বাই বাই!

উচিৎ কথা কইলে কেউ
কাছে আরো আসি-
এমন মানুষ দেখলে আমি
মন খুলে দেই হাসি!

মিথ্যে কথা বললে কেউ
লাগে আমার রাগ..
তার সাথে আর মনের কথা
করি না তো ভাগ!

কথার কথা দিয়ে কি আর
জীবন চলা যায়?
অনেক কথার মরন হলে
একটাই প্রান পায়..

সেটা হলো আসল কথা
বাঁচে না তো প্রান..
ভালোবাসার কথা এসে
জুড়ায় হৃদয়, কান৷

কথা চালাচালি করা
ভালো কথা নয়..
কথার টোপে পা বাড়ালে
লস হবে নিশ্চয়।

কিছু কথা,  এতো দামী
হীরেও তা নয়..
কথা দিয়ে সবাই সবার
মন করিবো জয়৷

_____ আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.


আমি এক পশু
আবদুল্লাহ আল মাসুম
.
.
.

কোটি কোটি টাকা করছো খরচ
চন্দ্রে যাবার জন্য! 
অথচ, শিশুটি কাঁদছে কোথাও
দুবেলা জোটি নি অন্ন! 

প্রতি ঘন্টায় নব্বই কোটি
টাকা প্রয়োজন বোমাতে..
বোমার আঘাতে মানবতা গেছে
সিসিও কেবিনে, কোমাতে! 

এই কি পৃথিবী?  এটাই মানুষ
শ্রেষ্ঠ হবার নমুনা! 
আমি হবো পশু, তোমরা মানুষ!
আমি তো মানুষ হমু না!
.
.
.
আমি এক পশু
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.
www.abdullahalmasum.com
৭ আগস্ট,  ২০২৩।
বেইলী রোড,  ঢাকা, বাংলাদেশ।।



মানুষ চিনতে হয়
আবদুল্লাহ আল মাসুম

শান্তি পেতে এই জীবনে,
ভালে থাকতে ভবে-
কয়েক রকম মানুষ হতে
দূরে থাকতে হবে।

যারা খুবই বেঈমান আর
শুধুই স্বার্থপর-
তাদের দিয়ে না ভরো এই
পবিত্র মন-ঘর! 

লোভী, কৃপন,ছোট মনের
ধর্মে উগ্রবাদী –
কখনোই এমন মানুষ
করতে হয় না শাদী।

স্বার্থে আঘাত লাগলে যারা
রূপে ভয়ংকর-
মাথা গরম, উল্টা বুঝে
মন নয় উর্বর! 

এমন মানুষ,  সন্দেহবাজ
বাঁকা কথা কয়-
এমন কারো সাথে গভীর
বোঝাপড়া নয়।

এমন যারা,  ভাষা খারাপ
মন্দ আচরন-
হেট স্পীচ দিতে যাদের
সদাই ব্যকুল মন! 

এমন যারা,  সব কিছুতে
নেগেটিভটাই পায় –
তাদের যদি এড়িয়ে যান
জীবন মধুর হায়! 

বুঝে শুনে এই জীবনে
আসতে দেবেন লোক-
নইলে, শুধু চিরদিনই
করতে হবে শোক!


সহস্র বছর
আবদুল্লাহ আল মাসুম


চাই না আমি
হতে ডাইনোসর..
বিলুপ্ত যে হয়ে যাবে
এই পৃথিবীর ‘পর! 

তার চে আমি টিকে রবো
হয়ে গুটি পোকা..
ভাবছো আমায় হয়তো আমি
খুবই বোকসোকা! 

গুটি থেকে প্রজাপতি হয়ে..
আমি যাবো এই জগতে রয়ে
সহস্র বছর!! 
চাই না আমি
হতে ডাইনোসর! 
.
.
.
.
সহস্র বছর
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love.



উড়ন্ত নীল প্রদীপ আবদুল্লাহ-আল-মাসুম
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫


থোকা থোকা আঁধারে দেয়

কোমল আলোর ঢেউ-

এক দেখেছি আমি ওদের

আর দেখে নি কেউ ।



কী দেখেছি ? কই দেখেছি ?

কী যায় আসে কার ?

নীল হীরকের আলোয় জ্বলে

তুলসি ঝোপের ঝাড়।



আলোর প্রতিচ্ছায়ায় জ্বলে

ঠান্ডা দীঘির জল-

অন্ধকারে আয়না দ্যাখে

জোনাক পোকার দল।



উড়ন্ত নীল প্রদীপ রাতে

করে কীসের খোঁজ ?

সেই কারনই খুঁজি আমি

বিষ্ময়েতে রোজ।




বৃষ্টি এলো ঐ// আবদুল্লাহ-আল-মাসুম
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
বৃষ্টি এলো ঐ// আবদুল্লাহ-আল-মাসুম



কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই

বৃষ্টি এলো ঝুপ-

সূর্য নিলো মেঘের আড়াল

গম্ভীর ও নিশ্চুপ।



বৃষ্টি এলো বৃষ্টি এলো

বৃষ্টি এলো ঐ-

মরা নদী উঠলো জেগে

পানিতে থই থই।



রঙিন ছাতায় মাথা ঢেকে

মামা বাড়ি যাই-

পথি মধ্যে শেয়াল আছে

এগিয়ে দাও ভাই।





আদুল গায়ে জল ছুড়ছে

পরষ্পরের গাঁয়-

দুষ্ট ছেলের সব কটা দল

খেলছে খালি পায়।





বেহালাতে সুর তুলেছে

বেহাগ রাগে সই-

গরম চায়ের পরে খাবা

মুড়ি দিয়ে দই।



কালিদাসের মেঘে চড়ে

হৃদয়পুরে যাই-

কেমন আজব বৃষ্টি ওরে

এই আছে এই নাই!





উষ্ম দেহে শীতল পরশ

দে বৃষ্টি দে-

গরম লোহায় বরফ ছোঁয়া

তা বোঝে না কে ?ঃ



মেঘের সাগর ভাটার টানে

যায় মিলিয়ে কই?

দেখ রে চেয়ে রাঙা ঠোঁটে

সূর্য হাসে ঐ।



বাজার করা

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম





মুরগি কত দাম ?

এ রাম ! এ রাম !

স্যরি জনাব, কষ্ট দিলাম,

আসল কথায় আসি-

নই আমি মাংসাসি।



সবজি কত দাম ?

এ রাম ! এ রাম !

কী আর করি?কী আর করা?

্একা মনে হাসি-

সবজি লাগে বাসি !!



মাছের কত দাম ?

এ রাম ! এ রাম !

মাছ নেবো না।কিনবো পরে

আস্ত কোনো খাসি-

বাজার ছেড়ে আসি।



এসো দাবা খেলি
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৮




সৈন্য চলে সম্মুখে একঘর-

নৌকা চলে শুধুই বরাবর।



মনে রাখিস তোরা-

চলতে পারে ঘোড়া-

আড়াইটি ঘর গুনিগুনি-

হাতি চলে কোনাকুনি।



মন্ত্রী মানুষ নেই কোনো ঠিক-

মন্ত্রী চলে যে কোনো দিক।



সকল সময় মনে রেখো দাদা-

রাজার পায়ে আছে শেকল বাঁধা।



তাই তো রাজা চতুর্ধারে-

একটি ঘরই যেতে পারে।



চাল তো জানা হলো-

এবার খেলি চলো।

  • – আবদুল্লাহ আল মাসুম
This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top