কবিতা: (৬) আগে আর এভাবে হয় নি চেনা !
আগে আর এভাবে হয় নি চেনা !
ভীড়ের মাঝে সে লুকানো কদম!
ফুলের ভীড়ে সে ছিলো পূর্ণ চাঁদ!
নিষ্পাপ মায়াবী চাহনি তার
টেনে ধরে আমার অন্তর!
ঘন ঘন বিদ্যুত খেলে
বুকের ভেতর!
অদ্ভুদ এ ভালো লাগা কি করে লুকাই?
তাকে দ্রুত এনে দাও, আমার নিকটে
সজোরে আমি তার
আলিঙ্গন চাই।
এভাবে আর কাউকে
ভালো তো বাসি নাই..
প্রেমের অভাবে আমি
মরে মরে যাই..
তাকে দ্রুত এনে দাও
সোহাগে সাজাই!
কবিতা
এনে দাও তারে
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.
www.abdullahalmasum.com
পৃথিবীর উতসমূল থেকে
সমাপ্তি অবধি
যতটা পথপরিক্রমা
পুরোটা পথ যে আমাকে
ঢেকে রাখে চমতকার রঙধনু দিয়ে..
সে ই তো আমার প্রেম!
যার কথা ভাবলে
কখনো ফুরাবে না অমরত্বের সূধা..
যার কথা ভাবলে
হৃদয়ে অনুরনন তোলে
সহস্র বিউগল একই সাথে..
সেটাই তো আমার প্রেম!
একদিন আমরা সকলেই
ফুরিয়ে যাবো।
একদিন আমাদের সকলেরই
সমাপ্তি আসবে..
একদিন আমাদের আর কিছুই থাকবে না,
আমরা যা বলতে পারি, শুধুই নিজের!
একদিন সব লুটাবে ধূলায়।
শুধু তখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উচিয়ে হয়ে থাকবে এক
বিশাল আলোকবর্তিকা।
পাগল করা জোছনায় নৃত্য করা
এক পূর্ণচন্দ্র!
সেটাই তো আমার প্রেম।
পৃথিবীতে সব কিছু
নীরবে হারায়..
প্রেম শুধু আঁকা থাকে
আকাশের গাঁয়।
মাঝরাতে টের পাবে
ভরা জোছনায়…
কবিতা
অবিনশ্বর প্রেম
কবি
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.
Baily road, Dhaka, Bangladesh.
ঝুলন্ত বাগানবিলাসে ফুটন্ত সুবাস
কতো গল্পের দৃশ্য লেগে আছে কোনায় কোনায়..
রাতে এসে চুমু খাবে সোহাগি চাঁদ
মেঘ যাবে বৃষ্টির অববাহিকায়..
তুমি এসে ছোঁবে বলে, রয়েছি আশায়..
আদিগন্ত কাঁপছে সুরের ভাষায়।
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.
আমি একটা নুড়ি পাথরের মতো
সবার অলক্ষ্যে
পথিকের পায়ে গড়াগড়ি খাচ্ছি।
আমি একটা গুল্মলতার মতো
নিজের ভেতরে লুকিয়ে যাচ্ছি..
আমাকে আরো একবার
আলিঙ্গন করে বলো..
আর কোনোদিন
আর কোনোদিন
আর কোনদিন
তুমি হারিয়ে যাবে না।
সজোরে চেপে রাখো তোমার স্বপ্ন স্বপ্ন ওমে
তোমার বাহূ-বন্ধনে আমি ছড়াই সলজ্জ প্রেম,
কাম ঘ্রান!
দেবদারূ বন সটান দাড়িয়ে
ছুঁতে চাক নীলাকাশ!
কথার ভেতরে কথাকে লুকিয়ে
খুঁজে ফিরি আশ্বাস!
বাতাস যেভাবে বিলি কাঁটে তোমার চুলে
সেভাবে আমার শরীরে বোলাও তোমার জাদুকরী আঙুল..
একটা একটা করে ফুল হয়ে যাক
এই জীবনের যত ভুল!
জাদুকরী আঙুল
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love
খোঁজ
আবদুল্লাহ আল মাসুম
আমার ভেতরে কি পাও নি,
বৃষ্টির অমিয় ধারা, প্রকৃতির ধ্রুব মুখ?
আমার ভেতরে কি দেখো নি তুমি
সীমাহীন মানবতা?
আমার ভেতরে কি পাও নি ধর্মের প্রতি প্রণয়?
আধ্যাত্মবাদের নম্র আলোয় পাও নি কি খুঁজে
স্বর্গ ও জগতের একান্ত সংযোগ?
আমার ভেতর পাও নি? অসীম অনন্ত
ফল্গুধারার মতো ফাগুনের হাওয়ার মতো প্রেম?
দেখো নি দোলায়িত শাদা শাদা কাশফুল?
দেখো নি নৌকার পাটাতনে ভেজা ভেজা শরীরে
ঠান্ডা জলের অবাক সন্তরন?
আমার ভেতরে কি উঁকি মেরে দেখতে পাও নি
একটি নিষ্পাপ শিশু?
দেখো নি কি লৌহ কঠিন শতাব্দী জয়ী ধৈর্য্য?
অনুভব করো নি কি, মাতৃ-মমতা ভরা হৃদয়?
পাও নি আমাকে ক্ষমার চূড়ান্ত চূড়ায়?
প্রজ্ঞায় কি পাও নি খুঁজে সমুদ্রের সুগভীরতা?
পাও নি কি ভাবনার বিশালতা?
পাও নি কি খুজে একের পর এক দুরন্ত চমক?
পাও নি এমন কিছু অকল্পনীয়, যা ছিলো অজ্ঞাত?
পাও নি কি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে রক্ত অনুর আদিম নৃত্য?
পাও নি কি শব্দের শরীরে জ্যান্ত অচেনা বুদবুদ?
প্রকৃত পক্ষে তোমার সমস্ত স্বপ্নের সমাধান পেয়েছো৷
এর বেশী আর কি জগতে খোঁজো অন্ধ মানুষ?
আমি হয়তো তোমার জগতে এক বিরল উপহার!
আমার ভেতরে কি দেখতে পাও নি
অশেষ অদৃশ্য মহা শক্তিমান তরঙ্গ!
আমার ভেতরে কি উপলব্ধি করো নি এখনো
অসীম গুপ্তধন, অকল্পনীয় সম্পদ?
আমার ভেতরে কি পাও নি অসীম কল্যান?
চোখ মেলো, ধুলোর ছানি সরাও চশমার দেয়াল থেকে।
আপাদমস্তক শিহরনে তুৃমি কেঁপে উঠবে,
এমন খুব বেশী কিছু নেই, এ জগতে।
স্বর্গের বাগান থেকে ছিড়ে আনা আমার
খাঁটি হৃদয়!
এখনো অনুভব করো নি তুমি?
তোমার জাগতিক নিদ্রায়?
এর চেয়ে বেশী, কি খোঁজো তুমি
বিন্দুর মতো ঝুলে থাকা ক্ষুদ্র এ পৃথিবীতে?
তোমার সবচেয়ে বড় স্বপ্নটি হয়তো আমি!
তোমার সবচেয়ে বড়ো অলৌকিক সরোবর হয়তো আমি৷
তোমার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা ও সাহস হয়তো আমি!
পানকৌড়ির মতো ডুব দাও ভাবনার জলে।
তুলে আনো মনি মানিক্য,
কিছু, মানুষ চিরকাল পেয়ে হারাতেই ভালোবাসে!
সরিয়ে এসো জাগতিক সব বাঁধা৷
তোমার প্রশান্তির একমাত্র পবিত্র ঠিকানা আমি।
তোমার ভালোবাসার এক অদ্বিতীয় তীর্থভূমি।
আমি তোমার অদ্বিতীয় সূর্য্য। রুপাম্তরিত হও একটি গ্রহে।
পরিভ্রমন করো আমাকে ঘিরে।
এক ফোটা জল, সমুদ্রে মিলিত হলে, থাকে না তার আলাদা অস্তিত্ব৷ মেঘের গর্ভ ছিড়ে, সে হয়ে ওঠে,
আসমান ও জমিনের গতিশীল দূত।
অনতিবিলম্বে চিহৃিত হয় সমুদ্র বলেই।
তুমি যা জানো না, আমি তা আবিষ্কার করেছি।
আমাকে কল্পনা করো, এমন এক সুবর্ণভূমি, যেখান থেকে
যে কোনো গন্তব্যে তুমি সহজেই যেতে পারো!
হৃদয়ে সংযুক্ত হও, টোটাবিদ্ধ মাছের মতো।
ভালোবাসার গুপ্তধন
ভালোবাসার গুপ্তধন
সকলে পায় না।
পায় শুধু জ্ঞানীজন।
ভালোবাসা থেকে প্রত্যাশা” কে বিয়োগ করলে,
ভালোবাসার একটি পিলার ভেঙে পড়ে।
ভালোবাসা দূর্বল হয়ে যায়।
ভালোবাসায়, নিরাপত্তা আর
নিশ্চয়তার অভাব হলে,
ভালোবাসা চুপি চুপি
অন্য কোথাও পালাবার পথ খোঁজে!
ভালোবাসার ডানা থেকে
“স্বাধীনতা” কেড়ে নিলে
গোপনে সে বিদ্রোহী আর
স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে!
ভালোবাসার প্রাসাদ তৈরী হতে পারে শুধু
‘নিষ্কন্টক বিশ্বাস’ এর জমিন এর ওপর। সম্মান হলো _
প্রাসাদ বানানোর উপকরন।
ভালোবাসার শরীর থেকে
বিশ্বাস ও সম্মান কেড়ে নিলে,
আর কিছুই থাকে না।
ভালোবাসার বিশাল প্রাসাদ ধ্বসে পড়ে।
ভালোবাসাকে যদি দুটো কম খেতে দাও,
কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না।
মনে রেখো _ জোড় খাটালে ভালোবাসা মরে যায়।
হৃদয়ের নরোম ভূমি শক্ত হয়ে যায়।
বিশ্বাস, সম্মান, ভরসা, প্রত্যাশা, নিশ্চয়তা, অসহ্য মায়া দ্বারা ভালোবাসার অপূর্ব দ্যোতি হৃদয় হতে হৃদয়ে
সঞ্চালিত হয়।
অর্থ ও সম্পদ কম হলেও
জীবন প্রশান্তির হতে পারে,
যদিও সকলে তা বোঝে না!
টাকায় সবই কেনা যায়।
সত্যিকারের ভালোবাসা
কেনার নাই উপায়।
তা পাওয়া যায় কেবল
পবিত্র হৃদয়ের ঝড়ানো ঊষ্ণতায়!
পরিনত মনের উচ্চতায়
আর যোগ্যতায়।
তনুমনের পরিপূর্ন
তৃপ্তিময় সাধনায়!
খাঁচায় বন্দী রেখে
সুন্দরী স্ত্রীর দেহভোগ আর
নির্মল ভালোবাসার সোহাগি স্পর্ষে, এতোটাই তফাত যেনো, একটিতে , আধো সজীব দেহে মৃত মন,
অন্যটিতে জীবন্ত মনের মহাশক্তিতে, শিউরে ওঠা সজাগ দেহ!
মনের অনেক গভীরে
গুপ্তধনের মতো
ভালোবাসার বসবাস…
সেখানে আলো ফেলে
যারা ধরে রাখে
সম্মান ও বিশ্বাস!
ভালোবাসা যদি হতো যদি
টাকার প্রয়োজন…
ধনী লোকের বউরা,
কখনো দিতো না, অন্য কাউকে মন!
ভালোবাসা এক
অসীম গুপ্তধন_
পেলেও, সবাই
করতে পারে না সংরক্ষন!
হীরের টুকরো চিনতে পারে না,
করে ফেলে
কাচের সাথে
সার্বিকিকরন!
ভালোবাসা কখনো
যুদ্ধেও জেতা যায় না।
একে পেতে হলে
সাধনার প্রয়োজন!
পাগলের মতো জীবন দিয়ে ভালোবাসলেই হয় না।
চিরদিন তা ধরে রাখতে
হওয়া চাই জ্ঞানীজন!
কবিতা
ভালোবাসার গুপ্তধন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
dhaka.baily road.
06.11.2021
www.abdullahalmasum.com
তোমার নীরবতা আমার মৃত্যু
আবদুল্লাহ আল মাসুম
তোমার নীরবতা আমাকে
ফালি ফালি করে কেঁটে ফেলে..
বিষন্নতা থেকে ঠেলে দেয়
হতাশার অন্ধকারে!
হঠাত শেকড় গজায়
বৃক্ষের মতো অনড় হয় জীবন..
কাস্তে হারা কৃষকের
ভাত হারা মজুরের মতো
দীনতায় নির্বাসিত করে
খানিক নীরবতা।
তোমার নীরবতা আমাকে
তিলে তিলে হত্যা করে, জনারন্যে…
একটি শিশু অর্ধেক পৃথিবীতে এলো..
বাাকি অর্ধেক মাতৃগর্ভের অন্ধকারে…
দেখেও তুমি ভাবলেশহীন, নীরব থেকেছিলে!
ক্ষুধার্ত এক কুকুরের কান্না শুনিয়েছিলাম..
তোমার জানলার পাশেই সে
ঘুরেছিলো পুরো পৌষ মাস..
তোমার নীরবতা ভাঙে নি!
একটি প্রেমিক হৃদয়ের আর্তনাদ
আসমান জমিন প্রকম্পিত করেছিলো..
তার প্রেমের মিছিলে
সামিল হয়েছিলো সব প্রজাপতি, ফুল….
তবুও,তোমার হৃদয়ে ওঠে নি কম্পন।
প্রাচীন সঙ্গীতের করুন সুর
অনেকেরই চোখ করেছিলো
অশ্রু সজল…
শুধু, তোমারই হৃদয়ে
ধ্বনিত হয় নি কোনো অনুরনন!
সহস্রবার তোমার জানলায় কড়া নেড়ে পাই নি উত্তর..
নির্জীব ফসিলের মতো
তবুও বেঁচে ছিলে আমার সময়ে..
ফসিলের মতো বয়ে চলেছিলে
নিজের লাশ।
তোমার জাদুময়তা আমাকে
সম্মোহিত করে রেখেছিলো
একটি রূপকথাময় নগরীর মতো..
শব্দের নাগর দোলায় তোমাকে
দোলাতে চেয়েছিলাম,
রক্ত অনুতে দিতে চেয়েছিলাম
প্রথম স্পর্ষের, কড়া চুম্বনের উত্তেজনা…
তুমি, নির্লিপ্ত চেয়েছিলে
আড়ালে, অগোচরে..
সাত সমুদ্র তের নদী তন্ন তন্ন করে
খুঁজেছি তোমার হৃদয়,
পেয়েছিলাম গৃহস্থ শরীর।
মরে যাওয়া মন,
ভালোবাসার আনন্দকে
পাপের তকমা দিয়েছিলো।
সহস্র ধর্মের কড়া নিষেধে
ভালোবাসা তো একটিই ফুল..
যে পেয়েছে এ অমৃতের স্বাদ
হাসি মুখে দিয়েছে জীবন।
স্বর্গ ও নরকে তোমার সারা মেলে নি, মেলে নি জগতের কোনো কোনে..
সমুদ্রের গর্জনে হারায় নি তোমার সুর,
নীরিক্ষা করেছি অসীম মমতায়।
তবুও আশায় বুক বেঁধে রাখি..
স্বাক্ষী থাকে আঁধ খাওয়া চাঁদ…
নীরবতা ভেঙে তুমি কি দেবে সারা?
বলবে কি একবার?
ভালোবাসি!
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা। বাংলাদেশ।
২৩ জুন, ২০২৩।বিকেল ৫ টা।
কবিতা
বৃষ্টির বিকেলে
আলিঙ্গনের আদরে
কবি
আবদুল্লাহ আল মাসুম
সলজ্জ প্রেম কামঘ্রানে
চাঁপা পড়েছিলো বৃষ্টির গন্ধ…
ঠোঁটে ঠোঁট স্থাপন..
রক্তে শিহরন..
বকুল ফুলের অচেনা ঘ্রানে
পাগল হয়ে ছিলো দেহমন।
জানলায় জলের প্রপাত..
তখন ছিলো বিকেল
আসে নি রাত..
তবু ছিলো অন্ধকার,চারিধার..
আমরা দুজন ফুলশয্যার
মোহময় জাদুর ঝরোনা ধারায়…
হারিয়েছিলাম ব্যকুল উন্মাদনায়..
তোমার কন্ঠদেশ ছুঁয়েছিলো আবার আগ্রাসী ঠোঁট..
আমার পিঠের পেলব ভূমিতে
তোমার নখের তীক্ষ্ণ আঁচড়…
চুমুতে, চুমুতে
ফুটছিলো অদৃশ্য ফুল
দেহের শিরায় শিরায়..
আত্মার বন্ধন ছিলো
প্রাচীন সঙ্গীতের মতো
পুরোনো গভীর…
তোমার শূন্যতাকে পূর্নতায়
ভরে দেবার জন্য
প্রতিটি কোষ হয়েছিলো
অধীর, অস্থীর।
আমার বুকে তুমি মাথা রেখেছিলো পূর্ণ নির্ভরতায়…
দুজনার নাভীতে সহস্র প্রজাপতি
খেলছিলো অপার মুগ্ধতায়!
ঠিক, এমন সময়,
আমরা দুজন হাতে পেয়েছিলাম
অলীক ডানা।
বৃষ্টি নিয়ে এসেছিলো
ঝড়ো বাতাস..
আমি তোমার মুখ
চুম্বনে চুম্বনে আরক্ত করেছিলাম।
তুমিও যৌবনা গোলাপের মতো
উত্তেজনায় অধীর হয়ে
কাঁপছিলে তির তির…
স্বপ্ন বাস্তবতা পেরিয়ে আমরা
জাদু বাস্তবতায় প্রবেশ করেছিলাম।
সমধুর প্রেমের সঙ্গীত
হয়ে উঠেছিলো দেহের পূরান..
কবিতার মতো চোখে
কামনার অগ্নি হচ্ছিলো নির্বপন!
নৈসর্গিক নগ্নতায় আমরা আদিম..
সুপ্ত আগ্নেগিরি কেঁপে উঠেছিলো থরোথরো..
শরীরে বিলি কাটা জাদুকরী আঙুল বাঁজায় বাঁশি
অকথ্য সর্বনাশের।
ফনা তুলে ভয়ংকর জাদু দন্ড।
তোমার মুখ গহ্বরে যেনো এক
বোয়িং বিমান..
শিহরনে চমকিত, রোমাঞ্চে জাগরিত পুলক, পুলক
অনলে নিষ্পেষিত অবাক, অসীম…
বিপরীত বিহারে.. অসম্ভব
গতিময় আবাবিল..
যেনো ঢেলে দিচ্ছে, খুবলে নিচ্ছে পৃথিবীর সব মধু!
আসমান ভাঙছে বৃষ্টিতে,
তুমি আমি অভিসারে…
জীবনের লুকোনো অধ্যায়…
ডুব সাঁতারের এক অচিন খেলায়
মত্ত তনু মন অপার মায়ায়
তোমার সিঁথিতে ছোটা আমার আঙুল..
রসালো পূর্নিমায় মাখামাখি
দুটি শরীর..
ভিজে ভিজে যায়, ডুবে ভেসে যায়.. বোমারু বিমানের মতো
ছুড়ে দেয়া আবেগের দ্রবন…
বহূ বছরেরর প্রনয়, অস্থীরতা আর বাসনা, কামনা
এক বিকেলে পেয়েছিলো
শান্তির ঠিকানা।
সব কিছুর উর্ধ্বে উঠেছিলাম দুজন…
ভুলেছিলাম ভয়, সংশয় আর
সন্দেহের অভিজ্ঞান।
বিশ্বাসের চূড়ান্ত চূড়ায়
দুটি মন দুটি তনু
হয়েছিলো একে স্থাপন…
দুয়ে মিলে এক হয়ে
এঁকেছিলাম স্বপ্নের ধারাপাত..
সেদিন বিকেলে খুব বৃষ্টি হয়েছিলো..
তোমার আদরে জাদু
তোমার হাসিতে মধু
মনের গভীরে খেলে
মায়াবী ইন্দ্রজাল!
পৃথিবীর শুরু হতে শেষ অবধি
থেকে যায় সে প্রেমের সুরভিত
গান।
আবদুল্লাহ আল মাসুম
the poet of love.
www.abdullahalmasum.com
বেইলী রোড, ঢাকা। বাংলাদেশ।
কবুল হয়তো দেয় শরীরের বৈধতা..
হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে
সুর তোলে কোন রূপকথা?