skip to Main Content
কবিতা : (৫) কেন তোমাকে ভালোবাসি

কবিতা : (৫) কেন তোমাকে ভালোবাসি

তোমাকে ভালোবাসি –
কেননা, তোমাকে দেখলেই,
রক্ত অনুতে অদৃশ্য ফুল ফোটে
হাজারে হাজার৷

কেননা-
তুমি হবে আমার
বেহশতের বাগিচায় চিরদিনের সঙ্গী৷

কেননা-
কখনো দেখি নি, 
এমন কুসুম কোমল বিস্তীর্ণ গোলাপ বাগান! 

আমি তোমাকে ভালোবাসি –
এ নির্দেশনা জগতে তৈয়ার নয়,
সরাসরি স্বর্গীয় সূধায় পূর্ণ করা হয়েছে আমার হৃদয়,
শুধু তোমারই জন্য৷

আমি তোমাকে ভালোবাসি,
কেননা,  না বেসে পারি না! 

আমি তোমাকে ভালোবাসি,
কেননা – তোমাতে কোনো ভেজাল নেই।
নেই মুখ ও মনের দূরত্ব।

আমি তোমাকে ভালোবাসি –
কেননা,  তোমার হাসি আমার অন্তর জুড়ায় অসীম আলোতে৷

আমি তোমাকে ভালোবাসি –
কারন- তুমি পূন্যবান! 
অমূল্য সোনা,  তোমার সময়৷
তোমার ভালোবাসার দান৷

আমি তোমাকে ভালোবাসি,
কেননা- আমার ফুসফুস বিনা ঘোষনায় ডাকে অবরোধ
যদি তোমাকে ভুলে থাকি! 

আমি তোমাকে ভালোবাসি! 
না বেসে পারি না,  না বেসে পারি না!

আমাকে হত্যা করো।
এ ছাড়া তোমাকে ভালো না বাসার
উপায় আমি জানি না।

তোমাকে ভালোবাসি –
তুমি এতো ভালো কেন? 
কেন এতো পবিত্র হ্দয়? 

তোমাকে কেন ভালোবাসি? 
এ নাটক আমি লিখি নি৷
আমাদের জীবন মিলিয়ে দিবে
সাত আসমানের ওপর থেকে
জীবন নাট্যকার৷

আমাকে রক্তাক্ত করে প্রভু শিখিয়েছে
সুন্দর মন কতোটা অমূল্য আর
কেন তা ভালোবাসার জন্য প্রকৃত উপহার! 


তুমি কি আমায় অনেক বেশী ভালোবাসতে পারো না? 
তুমি কি তোমার আলিঙ্গনে আমার
পাজড়ের হাড় ভেঙে দিতে পারো না? 
তুমি কেন আমাকে অসীম রসে
ডুবিয়ে রাখতে পারো না? 

আমার বেহেশতের ধ্রুব সঙ্গী, 
জগতে আমাকে ভুলে ভুলে থেকো না।
তুমি কি জানো না, 
তোমার চোখের স্পর্ষে আমি শিউরে শিউরে উঠি! 
এ অনুভব, 
তুলনা রহিত৷

স্বপ্নের চেয়ে তা মধুর৷
সুন্দরের অধিক সুন্দর৷
এতো পবিত্র অনুভব আমি আর কোথাও খুঁজে পাই না।
আমার দুচোখ অজান্তে সজল করে, তা।

কেন তোমাকে ভালোবাসি?
আমাকে তা তৃপ্ত করে।
কেন তোমাকে ভালোবাসি?
অবাক সুখ পাই৷
কেন তোমাকে ভালোবাসি?
তুমি বিশ্বাসী 
কেন তোমাকে ভালোবাসি? 
তোমার দেহ পল্লব আমার তনু আক্রান্ত করে
বিরাট অসুখে।
কেন তোমাকে ভালোবাসি? 
চুমুতে চুমুতে তোমার গালে ফোটাতে চাই স্বর্গীয়  হাসি৷

আমি তোমাকে কেন ভালোবাসি? 
কেননা – একটিও কারন পাই নি সমগ্র জীবন খুঁজে
কেন তোমাকে ভালো না বাসা সমীচিন! 

এতো সুন্দরের সামনে দাড়ালে মানুষ আত্মহনন করে৷
যদিও বাঁচতে চাই,
জীবনের স্বাদ চাই!
আসলে, আমি তোমার কোলে মাথা রেখে
মৃত্যু চাই৷
আমার মাথায় কবে বোলাবে তোমার জাদুকরী আঙুল! 
আমি রচনা করবো এক অমর প্রেমের
ধ্রুব সঙ্গীত! 

মানুষ,  যা শ্রবন করে, 
তাদের হ্দয়ের পোড়ায়,  কঠিন ক্ষতে শশুশ্রা পাবে
চিরদিন, চিরদিন! 

আমি মানুষের নিরাময় হতে চাই৷
আমার শক্তি তোমার প্রণয়৷
আমি এ জন্য তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি ভালোবাসো দেশ, ভালোবাসো মাতৃভূমি, ভালোবাসো
স্রষ্টার গুনকীর্তন! 
এ জন্যই আমি তোমাকে ভালোবাসি৷
তুমি এক বিরল উপহার এ জাহানে।
এ রকম টি আর নেই।
কেউ কখনো দেখে নি৷
কেউ কখনো পাবে না।
আমি কেন অন্ধ হয়ে যাই নি তোমাকে দেখার আগে? 
তোমাকে বিহনে গভীর বিলাপ আমি লুকিয়ে রাখি৷
প্রকাশে, কতোটুকু করবে অনুধাবন
আমার অনুভব? 

আমি তোমাকে কেন ভালেবাসি? 
কেননা,  তুমি জয়ী৷
কেননা, এতোটা শক্তিশালী কেউ নয় আর।
এতোটা ধনী হ্দয় আর কোথাও দেখি নি৷
কেননা- তুমি অনন্য নজির! 
এক অমূল্য উপহার,
এরকম আর আসে নি কখনো জগতে।

কবিতা
কেন তোমাকে ভালোবাসি
আবদুল্লাহ আল মাসুম




তৃষ্ণা!

রক্তে অচেনা বুদবুদ
অনুভূতির মৃদু কম্পন –
সূর্যরশ্নির তেজস্বী আলো
চমকায় মনের ভেতর।
মায়াবী ইন্দ্রজাল বুনে যায়
জলের সন্তরন।

সজোরে জাপটে ধরো
আলিঙ্গনের আদিম তৃষ্ণায়
চুম্বনে চুৃম্বনে জাদু খেলে যাক
শিরায়, উপশিরায়।
নক্ষত্ররা ঝরে পড়ুক বন্দনায়।
বেহিসেবী মন চরম তৃপ্তির চেতনায়
জ্বালুক অগ্নিমশাল..
ভালোবাসার বীজ বুনে দিক
শরীরে, শরীর।
ভিজে যাক নদীর কিনার,
ফেনিল সমুদ্র ভাঙুক ঢেউ
এপার, ওপার।

প্রতি রোম কূপে দপ করে
জ্বলে উঠুক কামনার লেলিহান অগ্নি।  💥
আলোকবর্ষ ধরে রোমন্থনে
গলে পড়ুক তরল জোছনা। 
জোয়ারে ভেসে যাক ছোট ছোট
ঘাসের সারি! 
মাখামাখি হয়ে যাক
রসালো পূর্নিমায়। 

ক্লান্ত দেহের শ্রান্ত ঢেউ
সিঁথীতে নিয়ে যাক আদুরে আঙুল…🤫
ছোট এক “বিন্দু জীবনে”
ভালো না বাসাটাই এক ভুল।
বসন্ত চলে গেলে বিদায় জানিয়ে
হবে না হবে না আর ভুলের মাশুল।

কবিতা
তৃষ্ণা! 
কবি
আবদুল্লাহ আল মাসুম 💓
The poet of love

বেইলী রোড, ঢাকা
বাংলাদেশ।




আমার সম্মুখে বসো। 
একটি বৃষ্টিস্নাত বন
চমকপূর্ণ উপহারের জন্য গাইছে..

দুটি চোখ বন্ধ করো।
তোমার কপোলে বৃষ্টির ফোঁটা
অনুভব করো।
যেনো এক যৌবনা গোলাপ
তিরতির করে কাঁপছে বৃষ্টির ছোঁয়ায়!

হয়তো আমরা একসাথে একটি
জীবন কাটাতে পারবো না,
আমরা একই সমুদ্রের দুটি তীর।
কিন্তু, আজ এক মহেন্দ্রক্ষন;
যখন, আমরা সকল হিসেব
নিকেষের উর্ধ্বে উঠতে পারি! 
কখনো এমন মূহুর্ত আসে
যা একটি পূর্নাঙ্গ জীবনের চেয়ে মূল্যবান। 

বৃষ্টির ঘ্রানে আমাদের উভয়ের শরীর
একই সাথে শিহরিত হচ্ছে।
মাটির সোঁদা গন্ধ আর কিছু অচেনা ফুল আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করছে।

আরো নিকটে এসো।
কল্পনা করো – তুমি রংধনুর ওপরে
আর এটাকে যেখানে ইচ্ছে, নিয়ে যেতে পারো! 
কোথা থেকে তুমি এসেছো? 
কোথায় তুমি যাবে? 
এমন উত্তর খুঁজো না, 
শুধু আনন্দে অভিভূত হও। 
তুমি মেঘের গাঁ ঘেষে উড়ছো..
মেঘেরাও সজোরে উড়ছে..
তোমার রক্ত অনুতে ফুটছে
অদৃশ্য ফুল।
তুমি শিহরনে কাঁপছো।


তোমার সীমাবদ্ধ শরীর থেকে
জেগে উঠছে তোমার ঘুমন্ত হৃদয়।
একটি বিশাল সমুদ্রের মতো
তুমি গর্জন করছো।
আমি তোমার ওপর সূর্যের ন্যয় অস্ত যাচ্ছি..

এ এক প্রাকৃতিক শক্তি।
ঠিক,মানুষের মতো নয়। 
আরো নিকটে এসো
এবং সজোরে আলিঙ্গন করো।
জীবনকে, ভালোবাসার অমরত্বে
উন্নীত হতে দাও।

তোমার চুম্বনগুলো
জোয়াড় তৈরী করছে..
আমরা আমাদের গৌরবগুলো
ভুলে যাচ্ছি..

সহস্র প্রজাপতি নাভীতে কামড়াচ্ছে..
এবং আমরা আরো উন্মাদনায় ডুবে যাচ্ছি।

একটি সুর, স্বর্গ হতে পৃথিবীতে আসছে
এবং শুধুমাত্র আমরাই তা শুনতে পাচ্ছি! 
তোমার জাদুকরী আঙুল ভালোবাসার আঁচড়ে আমার কাঁধ বিক্ষত করছে..


আমি শতাব্দিজয়ী একটি অমর প্রেমের গান রচনা করছি..
একদিন সব ফুরিয়ে যাবে
শুধু রয়ে যাবে ভালোবাসার জয়োগান।
কেননা, এটা লক্ষ হৃদয়ে যাবে
আর সর্বোচ্চ সত্যকে খুৃঁজে বের করবে।

ভালোবাসা পেতে
দুচোখ বন্ধ করো। 
এবং অনুভব করো
ভেতরে ভেতরে তা কতোটা বন্য!



দু’চোখ বন্ধ করো
আবদুল্লাহ আল মাসুম
The poet of love 🌹.
বেইলী রোড,  ঢাকা।
বাংলাদেশ।
৪ জুন, ২০২৩।



পৃথিবী হতে দূরে থাকে চাঁদ!
যদিও সে চিরকাল আবর্তন করে 
একটি গ্রহকেই ঘিরে।

কাছে এসে কেন তুমি 
দূরে সরে যাও?
তুমি কি অনুরূপ 
দূরে থাকা ফুল চাঁদ?


তুমি কি বোঝ না জান ?
যতটুকু কাছে থাকো..
ততটুকুই আসল জীবন! 
আমি তোমার প্রেমে মশগুল 
আমার সব অপূর্ণ
শুধু তোমাতে পূর্নতা পায়। 



আবারও আমাকে 
আমূল কাঁপাও।
কাঁপাও তোমার 
সর্বগ্রাসী সর্বনাশী 
মায়াবী দু চোখের স্পর্শে!

কাউকে পাই না জগতে 

ভেতরে বাহিরে

এতোটা সুন্দর!

হয়তো আমার কল্পনা দ্বারা 

তোমাকে করেছি রচনা! 

 হয়তোবা তুমি

রূপকথাকে পেরিয়ে 

গেছো!

এমন পবিত্র বেহেশতি সুবাতাস 

আমি আর কখনোই গায়ে মাখি নি!



কীভাবে জনসম্মুখে 

এভাবে ত্বরিত 

করতে পারো চুম্বন?

সমাজ ও পরিবারের খড়গ 

তুমি কি করো না ভয়? 

তুমি কি জানো না 

ভালোবাসার শত্রু 

সারা বিশ্বময়?


তুমিও কি থাকো 

আমারই মতো অপূর্ব _ঘোরে?

তোমার ভেতরটাও কি 

ভরে যাচ্ছে বকুলের বৃষ্টিতে?

তোমাকেও কি কামড়ে খাচ্ছে, 

মায়াবী ইন্দ্রজাল?



সারাটি জীবন 

প্রতিটি মূহুর্ত তোমাকে চাই

মাধবী ‘ তুমি এসেই বলো না যাই! 



বহূ যুগ অপেক্ষার পরপর

এক পশলা বৃষ্টির মতো 

ক্ষনিকে এসে ক্ষনিকে মিলিয়ে যাও! 

এতে কি ভরে চাতক পাখির মন?


সজোড়ে তোমাকে না পেলে আলিঙ্গনে 

রচিত হয় হ্রদয়ে ব‍্যথাতুর কারবালা! 

তোমাকে দেখলে হেসে ওঠে মন 

অবাক খুশীতে! 

তোমার নীরবতা আমার 

মৃত‍্যু সমান যাতনা।

ভুল করেও কখনো যেও না ভুলে! 


সারাটি জীবন 

প্রতিটি মূহুর্ত তোমাকে চাই

মাধবী ‘ তুমি এসেই বলো না যাই! 

করি’ ভালোবাসার সব চেয়ে 

উচু মিনার থেকে  উদাত্ত আহ্বান_

ফের কাছে এসে 

 সারা জীবন বুকে জড়িয়ে রাখো জান! 


কবিতা 

মায়াবী ইন্দ্রজাল
আবদুল্লাহ আল মাসুম 
বেইলি রোড ঢাকা

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top