কবিতা : (৩) তুমি যখন আমার কাছে আসো
তুমি যখন আমার কাছে আসো
দুনিয়ার সব কিছু উবে যায়..
আমি শুধু তোমাকে দেখি
তোমাকে দেখি..
তোমাকেই দেখি।
তুমি যখন আমার কাছে আসো
সমস্ত আঁধার দূর হয়ে
ফোটে হাসির ফুলঝুরি।
আমি শুধু তোমাকে দেখি
তোমাকে দেখি..
তোমাকেই দেখি।
তুমি যখন আমার কাছে আসো
সমস্ত খরা দূর হয়ে যায়
দুচোখে মরু শেষে নামে সবুজ ঝরোনা
প্রকৃতির সব স্বরুপ তোমাতেই দেখি।
আমি শুধু তোমাকে দেখি
তোমাকে দেখি..
তোমাকেই দেখি।
কবিতা
তোমাকেই দেখি
আবদুল্লাহ আল মাসুম
১০/০৮/২০২২
বেইলী রোড
dedicated to
রক্ত করবী।
চলো না মানুষের দেহ হতে
মুক্তি নিয়ে পরিপূর্ণ সবুজ বা হলুদ
পাখি হয়ে যাই!
বৃষ্টি ধোয়া আকাশে
হয়ে যাই রংধনু।
চলো হয়ে যাই
আলোর চেয়ে গতিময়, বাইকের সারথী!
চলো হয়ে যাই
উত্তর মেরুর বরফ ভাঙন!
গলগল করে প্রবাহিত হোক জল।
তৈরী করুক, ঝরোনা ও নদী।
চলো হয়ে যাই, এমন প্রজাপতি
যে শুধু প্রতি মিনিটে ঘটাবে
পরাগায়ন।
চলো হয়ে যাই, বিষ্ময়ে অভিভূত সোনালি হরিন “!
চলো হয়ে যাই
প্রকৃতির এমন আকৃতি,
যা অতিক্রম করে
আমাদের কল্পনা।
এমনও সুন্দর
যা সুবিশাল!
চলো হই বিবর্তন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
১৮/০৩/২০২২
বেইলী রোড,ঢাকা।
৭. ৫০ পিএম
ভেতরে কবিতা নেই
আবদুল্লাহ আল মাসুম
ভ্রমর কালো দুটি মিষ্টি চোখের হাসি দিয়ে আমি কি করবো ?
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
কি করবো তার , উত্তেজনায় অধীর লাল গোলাপের মতো
ঠোঁট দিয়ে ?
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
তার মেঘ কালো চুল আমাকে দোলায়িত করে প্রখর ,
কিন্তু , সে তো সাময়িক উত্তেজনা !
কি করে তাকে চিরকাল লালন করবো
আমার হৃদয়য়ের অমৃত ধারায় ?
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
মোলায়েম মাখনের ভেতরে কেন করবো
লিঙ্গানন্দ ?
চিরকাল তো তাকে , পারবো না রাখতে জড়িয়ে আষ্টে পৃষ্টে !
বোধের স্বচ্ছতায় !
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
তার , দুই পাহাড়ের গিরিখাদে কোনো কবিতা নেই।
তার গুপ্ত গুহায় ঝরণা ধারার মতো রসালো স্রোত নেই।
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
তার ঠোঁট হাসে , সেখানে জীবন্ত প্রাণবন্ত প্রাণের ছোয়া তো নেই।
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
কিছু অকবি , কবি শিরোপা ধারণ করে , যেভাবে
নিয়মিত ধর্ষণ করে কবিতার পৃথিবী !
মাশকারার আড়ালে , সে তো সেভাবেই ধর্ষণ করে
প্রকৃতির সহজ সুন্দর !
বানানো চমক আছে তার।
তার তো ভেতরে কবিতা নেই !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
তার হৃদয়ে মমতা নেই।
তার কোনো অলীক ডানা তো থাকে না !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
তার তো প্রেম করার দুর্দান্ত সাহস নেই !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
তার ভেতরে বিশ্বাস নেই।
যার ভেতরে কবিতা নেই,
বৃষ্টিতে ভেজার যোগ্যতা তার নেই !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
সে একটি ফসিল শুধু
মৃত শরীর বহন করে জলজ্যান্ত জীবনে !
সে শুধু শো লাশের বাহক !
তার শরীর একটি কফিন !
বয়ে বেড়ায় নিজের কফিন !
তার জীবনে কোনো আনন্দ নেই !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
সে হত্যাকারী হতে পারে !
ধর্ষক হতে পারে !
তার ভেতরে তো শিল্প নেই !
যার ভেতরে কবিতা নেই,
তার শুধু শরীর আছে , মন নেই !
একজন মহান কবির প্রণয়ী কেন কখনো হবে এমন কেউ
যার ভেতরে কবিতা নেই ?
খুব স্বল্প তারকা যুবতীদের ভেতরে কবিতা থাকে !
খুব স্বল্প সুন্দরী রমণীর ভেতরে কবিতা থাকে !
গরীব তরুণীদের মাঝে খুব কম ই কবিতা থাকে !
খুব স্বল্প ধনীর দুলালীর মাঝে কবিতা থাকে !
যার ভেতরে কবিতা নেই ,
সে ঠিকঠাক চুমু খেতে জানে না।
যার ভেতরে কবিতা নেই ,
তালে তালে লয়ে লয়ে , ছন্দে আনন্দে সে
শিহরণে ব্যাকুল হয়ে বকুলের মতো ফুটতে জানে না।
আমি, এমন তরুণী দিয়ে কি করবো।
যার ভেতরে কবিতা নেই !
যার ভেতরে শিল্প নেই !
যার ভেতরে প্রেম নেই নিখাত ও
কোহিনুর হীরার মতো ?
যার হাসিতে , হাসে না তার পুরো অন্তর ?
কোটি কোটি আকর্ষণীয় নিতম্ব আছে।
কোটি কোটি আছে তীব্র স্তন !
শুরু কোমর আছে প্রচুর !
কিন্তু , তাদের তো ,
ভেতরে কবিতা নেই !
DHAKA , DATED – 29.08.2021
BAILY ROAD , DHAKA .
6 lalbanu 2nd floor
আবার কখন বৃষ্টি নামে
নেই কোনো ঠিক,ঠিকানা_
আবওহাওয়া অফিস যা কয়
মুখের কথা, লিখা না।
মেঘের ওপর মেঘ করেছে
গুড়ুম গুড়ুম গর্জনে _
এই নামে কি, সেই নামে ফের
আকাশ ভরা বর্ষনে!
এতো জলের উতস কোথায়?
কোথায় অকূল দরিয়া?
জানিতে খুব ইচ্ছে করে
সারা জীবন ধরিয়া!
বৃষ্টি এলো, বৃষ্টি এলো
ভেজো এবার বৃষ্টিতে –
আম কুড়াবার সুযোগ আবার
গান কবিতা সৃষ্টিতে।
পাশের বনে, কাশের বনে
জলের ফোটায় নেতানো!
এই বরষায়, দেখবে শেষে
জলকে হলো জেতানো।
বৃষ্টি এলো। থেমে গেলো।
আসবে আবার জোড়ালো
মনের ভেতর লাড্ডু ফোঁটে
কম্পিত হয়, জোড় আলো।
আকাশ কিছু ফর্সা হতেই
বোয়িং বিমান উড়ালো!
বৃ্ষ্টি নিয়ে ছন্দ ছড়া
মিষ্টি সুরে ফুরালো।
বৃষ্টি
আবদুল্লাহ আল মাসুম
উত্তরা, ঢাকা।
18/06/2022
draft
চলো না মানুষের দেহ হতে
মুক্তি নিয়ে পরিপূর্ণ সবুজ বা হলুদ
পাখি হয়ে যাই!
বৃষ্টি ধোয়া আকাশে
হয়ে যাই রংধনু।
চলো হয়ে যাই
আলোর চেয়ে গতিময়, বাইকের সারথী!
চলো হয়ে যাই
উত্তর মেরুর বরফ ভাঙন!
গলগল করে প্রবাহিত হোক জল।
তৈরী করুক, ঝরোনা ও নদী।
চলো হয়ে যাই, এমন প্রজাপতি
যে শুধু প্রতি মিনিটে ঘটাবে
পরাগায়ন।
চলো হয়ে যাই, বিষ্ময়ে অভিভূত সোনালি হরিন “!
চলো হয়ে যাই
প্রকৃতির এমন আকৃতি,
যা অতিক্রম করে
আমাদের কল্পনা।
এমনও সুন্দর
যা সুবিশাল!
চলো হই বিবর্তন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
১৮/০৩/২০২২
বেইলী রোড,ঢাকা।
৭. ৫০ পিএম
প্রত্যাশা পূর্ণ না হলে –
এভাবে কাছে,
কাছে এভাবে
আসবে তো?
আশা যদি ভেঙে যায়
মেঘের মতন
বৃষ্টির রূপে তার
হয় গো পতন
পূর্ণ চাঁদের মতো
হাসবে তো ?
স্বপ্ন যদি না
মেলে ডানা আসমানে
আগামি দিনের আশায়
বুক বাঁধবে তো?
না বলে যদি
হারিয়ে যাই
যাই হারিয়ে
পৃথিবী থেকে –
তুমি আড়ালে
কাঁদবে তো?
কবিতা/ যদি
কবি/আবদুল্লাহ আল মাসুম
#প্রেম
আবদুল্লাহ আল মাসুম
সৃষ্টির আদি হতে অন্ত অবধি
যার প্রশংসা-ধ্বনী,
কখনো ফুরায় না..
সেটাই তো আমার প্রেম।
ভরদুপুরে হাসতে হাসতে
আকাশের কোনে পূর্নিমা চাঁদ যে দেখিয়ে দিতে পারে
সেই তো আমার প্রেম।
যে আমার হ্দয়ে, ধমনীতে,
বাম নিলয়ে তোলে সুরের ঝংকার
এমন এক ঐন্দ্রজালিক
মায়া মোহে আচ্ছন্ন
করে রাখে,
যেনো –
বিচ্ছিন্ন হই
এই সাধারন পৃথিবী থেকে
আমি জগতে গড়েছি এক
অনন্য উপাখ্যান
সেটাই তো আমার প্রেম।
হৃদয়ে আপনি আসি
গোপনে বাজায় বাঁশি
তার, তাল, লয় সুর
বড় নিদারুন
আমাকে অমরত্বের উচ্চতায় আসীন করে যে –
তির তির ডানা কাঁপানো রোমাঞ্চে শিহরিত করে রাখে যে
সেই তো আমার প্রেম।
উত্তর হতে দক্ষিন গোলার্ধে
দ্রুতগামী ধূমকেতুর মতো
আলোর নাচনে পৃথিবী করে যে প্রদক্ষিন, সেই তো আমার প্রেম।
মূহুর্তে সুখের অশ্রুতে যে
ভাসাতে পারে বা
আমার অনুপস্তিতি যার
প্রখর শোক অনুতাপের কারন!
মুহূর্তে ভেলকিবাজীর মতো
শাদাকালো পৃথিবীকে যে
একটি রঙিন রঙধনুতে পরিনত করে, সেই তো আমার প্রেম।
যার সুমিষ্ট ধ্বনীগুলো আমাকে এতোটাই আচ্ছন্ন করে যে _
পৃথিবীর সব মিষ্টি সংগীতগুলো
লাগে শুধু মলিন,মলিন।
সেই তো আমার প্রেম!
যার এক টুকরো হাসিতে
আমার সাত আসমান
প্রকম্পিত হয়, প্রলয়কামী বিজলিতে!
সেই তো আমার প্রেম।
যার চোখে একবার তাকিয়ে
শতবার মৃত্যুকে করা যায় আলিঙ্গন!
সেই তো আমার ভুবন মোহিনী প্রেম!
যে প্রেমে,না আছে জন্ম,
না আছে মৃত্যু!
বরং আছে চিরদিন
সবুজে দীপ্তিমান
পত্র, পল্লবে,
তৃনলতায়!
খেলা করে প্রতিটি ধূলিকনায়।
ছায়াপথ,নীহারিকা ঘুরে
আমার হৃদয়কে প্রলুব্ধ করে এক অনন্য উচ্চতায়।
না ফুরানো আনন্দের মাঝখানে যে দাড়িয়ে থাকে বিজয় পতাকা উড়িয়ে অনেক রোমাঞ্চ, শিহরন
মুঠি বেঁধে। নিয়ে আসে পৃথিবীর বাইরে থেকে।
না বলা অশেষ কবিতা ও গানের
কলিগুলো, না ফুরানো এ ভালো লাগা ই হলো আমার প্রেৃৃৃম।
যারা মনে করে
কাগজের ও রক্তের সম্পর্কই আসল সম্পর্ক!
তারা কতোই না অন্ধকারে থাকে!
আমাদের আসল সম্পর্কগুলো আসলে
আত্মার সনে আত্মার গভীর বন্ধন।
পরানের সাথে পরানের সেতু।
মনের সাথে মনের লেনদেন।
এসব মহাসত্যুগুলোকে আমরা অনেক সময়
দিনের আলোতে আনতে কাপুরুষচিত আচরন করি!
ধ্রুব সত্যকে এড়িয়ে গোপন করি।
অথচ, ভালোবাসা নয়। ঘৃনাকে আড়াল করার কথা ছিলো মানুষের! সত্যি অদ্ভুদ এ জীবন, আমাদের সংস্কৃতি ও বাস্তবতা!
প্রেম যদি হয় “শখ”
কখনো আমরা আত্ম_প্রবঞ্চক।
ফির অংশবিশেষে সম্পর্কের এক মাত্রা!
টপ করে পড়া, অশ্রুকণা
কখনো মিথ্যে বলে না।
বলে, নিষ্পাপ এক হৃদয়ের
আত্মাহূতির গল্প।
সব পেয়েও, কিছু না পাওয়ার উপাখ্যান।
অশ্রু কখনো মিথ্যে বলে না।
যে অনুভূতিতে সামান্য অশ্রু থাকে –
সে অনুভূতি, খাঁটি সোনার
চাইতে খাঁটি!
অশ্রু কখনো সাজানো হয় না।
দুচোখ ভরা যেনো নীরব বৃষ্টিপাত!
প্রিয়, আমি কেঁদেছিলাম।
তুমিও কেঁদেছিলে
কিন্তু, আমরা দূরত্ব ঘোচাতে পারি নি।
অশ্রুতে পুষে রাখা পুষ্পও
হতে পারে ভালোবাসার আরেক নাম।
অশ্রুকনা/কবিতা
আবদুল্লাহ আল মাসুম /কবি
০৫/০৬/২০২২
সময় ১০/১৩
বেইলী রোড, ঢাকা।