কবিতা: (১) ভালোবাসার গুপ্তধন
ভালোবাসার গুপ্তধন
সকলে পায় না।
পায় শুধু জ্ঞানীজন।
ভালোবাসা থেকে প্রত্যাশা” কে বিয়োগ করলে,
ভালোবাসার একটি পিলার ভেঙে পড়ে।
ভালোবাসা দূর্বল হয়ে যায়।
ভালোবাসায়, নিরাপত্তা আর
নিশ্চয়তার অভাব হলে,
ভালোবাসা চুপি চুপি
অন্য কোথাও পালাবার পথ খোঁজে!
ভালোবাসার ডানা থেকে
“স্বাধীনতা” কেড়ে নিলে
গোপনে সে বিদ্রোহী আর
স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে!
ভালোবাসার প্রাসাদ তৈরী হতে পারে শুধু
‘নিষ্কন্টক বিশ্বাস’ এর জমিন এর ওপর। সম্মান হলো _
প্রাসাদ বানানোর উপকরন।
ভালোবাসার শরীর থেকে
বিশ্বাস ও সম্মান কেড়ে নিলে,
আর কিছুই থাকে না।
ভালোবাসার বিশাল প্রাসাদ ধ্বসে পড়ে।
ভালোবাসাকে যদি দুটো কম খেতে দাও,
কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবে না।
মনে রেখো _ জোড় খাটালে ভালোবাসা মরে যায়।
হৃদয়ের নরোম ভূমি শক্ত হয়ে যায়।
বিশ্বাস, সম্মান, ভরসা, প্রত্যাশা, নিশ্চয়তা, অসহ্য মায়া দ্বারা ভালোবাসার অপূর্ব দ্যোতি হৃদয় হতে হৃদয়ে
সঞ্চালিত হয়।
অর্থ ও সম্পদ কম হলেও
জীবন প্রশান্তির হতে পারে,
যদিও সকলে তা বোঝে না!
টাকায় সবই কেনা যায়।
সত্যিকারের ভালোবাসা
কেনার নাই উপায়।
তা পাওয়া যায় কেবল
পবিত্র হৃদয়ের ঝড়ানো ঊষ্ণতায়!
পরিনত মনের উচ্চতায়
আর যোগ্যতায়।
তনুমনের পরিপূর্ন
তৃপ্তিময় সাধনায়!
খাঁচায় বন্দী রেখে
সুন্দরী স্ত্রীর দেহভোগ আর
নির্মল ভালোবাসার সোহাগি স্পর্ষে, এতোটাই তফাত যেনো, একটিতে , আধো সজীব দেহে মৃত মন,
অন্যটিতে জীবন্ত মনের মহাশক্তিতে, শিউরে ওঠা সজাগ দেহ!
মনের অনেক গভীরে
গুপ্তধনের মতো
ভালোবাসার বসবাস…
সেখানে আলো ফেলে
যারা ধরে রাখে
সম্মান ও বিশ্বাস!
ভালোবাসা যদি হতো যদি
টাকার প্রয়োজন…
ধনী লোকের বউরা,
কখনো দিতো না, অন্য কাউকে মন!
ভালোবাসা এক
অসীম গুপ্তধন_
পেলেও, সবাই
করতে পারে না সংরক্ষন!
হীরের টুকরো চিনতে পারে না,
করে ফেলে
কাচের সাথে
সার্বিকিকরন!
ভালোবাসা কখনো
যুদ্ধেও জেতা যায় না।
একে পেতে হলে
সাধনার প্রয়োজন!
পাগলের মতো জীবন দিয়ে ভালোবাসলেই হয় না।
চিরদিন তা ধরে রাখতে
হওয়া চাই জ্ঞানীজন!
কবিতা
ভালোবাসার গুপ্তধন
আবদুল্লাহ আল মাসুম
dhaka.baily road.
06.11.2021